এপ্রিল মাসজুড়েই তীব্র তাপদাহের পর মে মাসের শুরুতে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। তবে মঙ্গলবার (১৪ মে) থেকে কমে যাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। ১৫ মে থেকে আবারও মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ বইতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ২০ মের পর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছে অধিদপ্তর।
এদিকে টানা ৩৩ দিনের তাপপ্রবাহের পর দেশের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয় চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে। ধীরে ধীরে ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তবে পশ্চিমাঞ্চলে (খুলনা ও রাজশাহী) বৃষ্টি শুরু হয় ৫ তারিখের পর। ৬ মে টানা ৩৭ দিন তাপপ্রবাহের পর চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টি হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত ৭ দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে ৫ মে শ্রীমঙ্গলে ১২৪ মিলিমিটার, ৬ মে ফেনীতে ১৩০, চট্টগ্রামে ১১৮, ৭ মে রাজশাহীতে ৫১ মিলিমিটার এবং সর্বশেষ ১১ মে ঢাকায় ৮৭ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এপ্রিল মাসে দীর্ঘসময় তাপপ্রবাহ ছিল। এই সময়ে যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল, যেটি গত ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর সারা দেশে এক সপ্তাহের মতো বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এখন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অনেকটা কমে এসেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা একটু বেশি। তবে দক্ষিণাঞ্চলে কম।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মে মাসের তাপপ্রবাহে রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠতে পারে। ঢাকার তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ থেকে ৩৮ সেলসিয়াসের মধ্যে।
হাফিজুর রহমান বলেন, বৃষ্টিপাত কমে আসা মানেই গরম বাড়বে। এখন তাপপ্রবাহ নেই। তবে সামনে আশঙ্কা করা হচ্ছে আবার তাপপ্রবাহ আসবে। এপ্রিলের ১৫ তারিখের পর মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বিক্ষিপ্তভাবে আসতে পারে। তবে এই তাপপ্রবাহ দীর্ঘায়িত হবে না। আবার তীব্র বা অতি তীব্রও হবে না। এর ব্যাপ্তিও সারা দেশে বিস্তার লাভ করবে না। দেশের পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে বিস্তার লাভ করতে পারে। এটা চার থেকে পাঁচ দিন থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মে মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মাসের শেষ দিকে সাগরে একটি বা দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেখান থেকে নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থা তৈরি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। তবে তা এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না।
হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আগামী ২০ এপ্রিলের পর সাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। লঘুচাপ তৈরি হওয়ার পর বোঝা যাবে।’