বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অমর উপন্যাস ‘পথের পাঁচালী’লেখকের জীবনরস আস্বাদন এবং পরিবেশনের হিরণ্ময় প্রভায় দীপ্র।তিনি পল্লীর সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্না, জীবনের উত্থান-পতন ইত্যাদি প্রত্যক্ষ করেছেন নিবিড় অন্তর্দৃষ্টির আলোকে।তাঁর সাহিত্য মূলত পল্লীকেন্দ্রিক।পল্লীর নিসর্গ, সাধারণ মানুষ তাঁর হৃদয় বীণায় নানা সুরে ঝংকার তুলেছে।এর প্রতিধ্বনি জেগেছে সাহিত্যে।আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে নিপুণ চিত্রকর বিভূতিভূষণ গ্রামীণ মানুষ ও প্রকৃতির বিচিত্র ছবি অঙ্কন করেছেন।পল্লীর সাধারণ মানুষের জীবনে আলো-আঁধারের যে নীরব স্রোতস্বিনী নিরন্তর বয়ে চলেছে,মানুষের সুখ-দুঃখের সেই পাঁচালীই তাঁর সাহিত্যে শিল্প -সুষমায় হিল্লোলিয়া ওঠেছে।সংবেদনশীল শিল্পীমনের দরদি ছোঁয়ায় পথের পাঁচালী অতুলনীয় মহিমা লাভ করেছে।
চরিত্র নির্মাণ,বাস্তবানুগ সংলাপ, ভাষার মাধুর্য, আশ্চর্য সুন্দর প্রকৃতি চিত্রণ প্রভৃতি এ গ্রন্থের বিস্ময়কর জনপ্রিয়তার মূলে ক্রিয়াশীল।
শিল্পীমনের পরশ পাথরের স্পর্শে সাধারণ পল্লীজীবন,চিরচেনা নৈসর্গিক পরিমণ্ডল, মানুষসহ সবকিছুই এক অভিনব অনির্বচনীয় সৌন্দর্যে দীপিত হয়ে ওঠেছে। লেখকের দৃষ্টির ঐন্দ্রজালিক শক্তি ও সুগভীর অনুভূতি আলোচ্য গ্রন্থের জনপ্রিয়তার অন্যতম উৎস, একথা বলাই বাহুল্য।
একটি দারিদ্র্য -পীড়িত গ্রামীণ পরিবারের দুঃখ দুর্দশার কাহিনী নির্ভর এ গ্রন্থের গঠন কৌশল ভিন্নতর।তিনটি পর্বে বিভক্ত উপন্যাসের প্রতিটি পর্বের স্বতন্ত্র নাম। যেমন ‘বল্লালী বালাই’,’আমআঁটির ভেঁপু’ ও ‘অক্রুর সংবাদ’।প্রথম পর্ব ‘বল্লালী বালাই’ মূলত লাঞ্চিতা,উৎপীড়িতা,সময়ের ভারে পীড়িতা ইন্দির ঠাকরুনের জীবনচিত্রের মর্মস্পর্শী বিবরণ।
আরও পড়ুন: ঈদুল ফিতর একটি জাতীয় উৎসব, সর্বজনীন মেলা | জাহান আরা খাতুন
শোনাযায়, রাজা বল্লাল সেনের মাধ্যমেই এদেশে এক সময় কৌলীন্য প্রথার বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ে। তিনিই এ প্রথার প্রবর্তক। এ প্রথা অনুযায়ী নামজাদা কুলীনেরা প্রত্যেকে বহু কন্যার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারতেন।
এমনকি শতাধিক স্ত্রীর কুলীন স্বামীর সন্ধান পাওয়াও অসম্ভব ছিল না।তখন অতিবৃদ্ধ মৃত্যু পথযাত্রী বহু কুলীন অবলীলায় বালিকা বা তরুণীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতেন।এসব কুলীন জামাই পালাক্রমে এক এক শ্বশুর বাড়ি এসে পদধূলি দানে বাড়িকে কৃতার্থ করতেন।আপন খেয়াল খুশিমত দু’একদিন থাকতেন।অতঃপর প্রথামাফিক মোটা পাওনা আদায় করে অন্য শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশে পথে নামতেন।
তাঁদের স্ত্রীরা কালভদ্রে স্বামী -সাহচর্য লাভ করতেন।স্ত্রীরা সর্বদাই বাপের বাড়িতে নিরানন্দ জীবন যাপন করতে বাধ্য হতেন।স্বামী -সংসারের তথা দাম্পত্য জীবনের প্রকৃত আস্বাদ তাঁদের ভাগ্যে কোনদিনই জুটত না।তাঁদের পুষ্পিত জীবনের সুরভিত বৈভব ক্ষয়ে ক্ষয়ে একসময় নিঃশেষ হয়ে যেত।বুকের নিভৃতে গুমরে মরত কত অস্ফুট আকাঙ্ক্ষা।কত চাপাকান্না। আর্ত হাহাকার।মা বাবার স্নেহচ্ছায়ায় তবু এঁরা কিছুটা ভাল থাকতেন।কিন্তু পিতা মাতার মৃত্যুর পর জীবনে নেমে আসত দুঃখ দুর্দশার সর্বনাশা ঢল।জীবনের শেকড় যেত আলগা হয়ে।স্রোতের শ্যাঁওলারমত, আকাশের সুতা ছেঁড়া ঘুড়িরমত এদের জীবন কেবল দুঃখ আর অনিশ্চয়তার আবর্তে ঘুরপাক খেত।ভাই বা অন্য কোনো নিকট আত্মীয়ের গলগ্রহ হয়ে দুবেলা দুমুঠো ভাতের আশায় সংসারে’আপদ’হয়ে অনাদরে অবহেলায় বিড়ম্বিত করুণ জীবনের দুর্বহ বোঝা তাঁদের বইতে হত।তাঁদের নিরানন্দ, নিস্তরঙ্গ জীবনে কোনদিন ফুল ফুটত না।পাখি গান গাইত না।বসন্তের বাঁশি বাজত না।ফ্যাকাশে, বিবর্ণ,বিপর্যস্ত শ্রান্ত, ক্লান্ত জীবনের ঘানি টেনে টেনে একসময় এঁরা মৃত্যু নামক চির শান্তির কোলে ঢলে পড়তেন।
পথের পাঁচালীর’বল্লালী বালাই’অংশের ইন্দির ঠাকরুন তাঁদেরই একজন।উপন্যাসের প্রথম ছটি পরিচ্ছেদে পর্বটি বিন্যস্ত।ইন্দির ঠাকরুনের গ্লানিমাখা জীবনের করুণ কাহিনী এ অংশে এক বিষাদ -কাতর আবহ সৃষ্টি করেছে।শিল্প নৈপুণ্য, নির্মাণ কৌশল, চরিত্র সৃষ্টি, কাহিনী বিন্যাস, জীবনদৃষ্টি, সবদিক থেকেই অংশটি সবিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ও হৃদয়স্পর্শী।
পথের পাঁচালীর কেন্দ্রবিন্দু অপুর বাবা হরিহর রায়ের দূর সম্পর্কের বোন ইন্দির ঠাকরুন।পূর্বদেশীয় এক নামজাদা কুলীনের সাথে তাঁর বিয়ে হলেও স্বামী কালেভদ্রে আসতেন।এক আধ রাত্রি কাটিয়ে কৌলিন্য সম্মানী,পথের খরচ প্রভৃতি আদায় করে প্রথানুযায়ী খাতায় দাগ কেটে তল্পিবাহকসহ পরবর্তী নম্বরের শ্বশুরবাড়ির দিকে রওনা দিতেন।মা,বাবা,ভাই এর মৃত্যুর পর ঠাকরুন হরিহরের পিতা রামচাঁদের সংসারে একান্ত অসহায় হয়ে আশ্রয় লাভ করেন।এরপর সময়ের অমোঘ স্রোতে কত মানুষ,জনপদ ভেসে গেল।অনন্ত কাল প্রবাহের ভাঙা-গড়ার মাঝে রামচাঁদের মৃত্যুর পর পুত্র হরিহরের সংসারে আশ্রিতা ঠাকরুনের সাথে আমাদের দেখা হয়।১২২০ সালের ছিপছিপে হাস্যমুখী সে তরুণী এখন পঁচাত্তর বছরের পীড়নে এক অসহায় বৃদ্ধা।
সদ্য বিবাহিতা দশ বছরের বালিকা বধূকে শ্বশুর বাড়ি রেখে হরিহর যখন দেশ ছাড়া, তখন তিনি খেয়ে না খেয়ে বহুকষ্টে প্রতিবেশীর দুয়ারে হাত পেতে বাড়ি আগলে বসে থেকেছেন।অনেকদিন পরে হরিহর বাড়ি ফিরে এলে তাঁর অতৃপ্ত মন আশায় উদ্বেল হয়ে ওঠে।
সংসারের আস্বাদ তিনি কোনোদিন পাননি।হয়ত তাঁর চাওয়ার পরিধিও ছিল সীমিত।কেবল হরিহরের মেয়ে দুর্গার প্রতি ছিল তাঁর অগাধ স্নেহ মমতা।দুর্গার মধ্যে তিনি নিজের মেয়ে বিশ্বেশরীকে আকুল হয়ে খুঁজে বেড়াতেন।অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে অল্পদিন পরেই মারা যাওয়া বিশ্বেশরী যেন সুদীর্ঘ চল্লিশ বছর পর তাঁর অনাথ, বুভুক্ষু, চিরদুঃখী মায়ের বুকে আবার ফিরে এসেছে। দুর্গাকে কাছে পেয়ে, “চল্লিশ বছরের নিভিয়া যাওয়া ঘুমন্ত মাতৃত্ব মেয়েটার মুখের বিপন্ন, অপ্রতিভ ভঙ্গিতে, অবোধ চোখের হাসিতে,এক মুহূর্তে সচকিত আগ্রহে, শেষ হইতে চলা জীবনের ব্যাকুল ক্ষুধায় জাগিয়া উঠে।”(পথের পাঁচালী)
সংসার -সুখ বঞ্চিতা অসহায় বৃদ্ধার তৃষিত মাতৃহৃদয়ের এই মর্মস্পর্শী চিত্র আমাদের হৃদয়কে দ্রবীভূত করে। কিন্তু যে প্রত্যাশায় ঠাকরুন দীপ্ত হয়ে উঠেছিলেন, আশার সেই প্রদীপ সহসাই নিভে যায়।বসে বসে অন্ন ধ্বংস করার কারণে হরিহরের বউ তাঁকে দু’চোখে দেখতে পারে না।সামান্য কারণেই ঝগড়া বিবাদ লাগায়।
এরপরও হরিহরের বাড়িতে বসবাসের অযোগ্য একটা ঘরে তাঁর স্হান হয়। হরিহরের বউ এ ঘরে প্রায় আসে না বললেই চলে।কিন্তু ঠাকরুনের ধূসর জীবনের পরম সঙ্গী হরিহরের মেয়ে যখন তখন আসে।এই ছোট্ট একরত্তি মেয়েটি ইন্দির ঠাকরুনের বিড়ম্বিত আঁধার জীবনে একটুকরো আলোর নির্মল ঝলকানির মত।
ওর প্রাণবন্ত সাহচর্যে ঠাকরুনের ছন্দহারা জীবনে ছন্দ ফিরে আসে।সেখানে অমল জীবনের সুবাতাস বইতে থাকে।একসময় ঠাকরুন নানা রকম ছড়া মুখস্থ করেছিলেন। ছড়া বলায় তাঁর দক্ষতাও ছিল প্রচুর।দুর্গার মত ধৈর্যশীল ও হৃদয়বান শ্রোতা পেয়ে তিনি যেন আবার তাঁর সেই হারিয়ে যাওয়া সোনালি দিনগুলোতে ফিরে যেতে চান।প্রতি সন্ধ্যায় ভাইঝিকে নিয়ে ছড়া বলার আনন্দে মেতে ওঠেন।
কখনো কখনো কোনো অলস বেলায় হৃদয়ের নিভৃতে স্মৃতির বাঁশি বাজে।মনের প্রান্তরে আপন মনে খেলা করে বেড়ায় সুদূর স্মৃতির মেদুর কোমল হাওয়া।ঠাকরুন আনমনা হয়ে যান।
বার তিনেক আসা স্বামীর স্মৃতি অস্পষ্ট কুয়াশারমত মনে পড়ে। মনে হয় এ বুঝি দুর্লভ কোনো স্বপ্ন। সেই চিঠি নিয়ে আসা লোকটার কথা মনে পড়ে। শ্বশুর বাড়ির দেশ থেকে লোক এসেছে। চিঠি পড়ার কেউ নেই। ব্রজ কাকার চণ্ডীমণ্ডপে তিনি নিজেই চিঠি নিয়ে গেলেন।জানতেও পারেননি এ চিঠি কি ভয়াবহ দুঃসংবাদ বয়ে নিয়ে এসেছে।সেজ জ্যাঠা চিঠি পড়লেন।আর সেদিন তাঁর হাতের নোয়া আর সাধের রূপার পৈঁছে জোড়া খুলে ফেলতে হলো।কপালের জ্বলজ্বলে সিঁদুর চিরদিনের জন্য ধুয়ে মুছে তাঁকে পরতে হল বিধবার পোশাক। ইন্দির ঠাকরুনের লাঞ্চিত জীবনের করুণ ইতিবৃত্ত আমাদের মনকে প্রতি মুহূর্তে মুহূর্তে ভারাক্রান্ত করে তোলে।সংসারে’বালাই’রূপ ঠাকরুনকে অপুর মা সর্বজয়া মোটেও সহ্য করতে পারে না।দুবেলা কথায় কথায় সময় থাকতে “পথ দেখিবার উপদেশ ইঙ্গিতে জানাইয়া দেয়।সে পথ কোনদিকে জ্ঞান হওয়া অবধি আজ পর্যন্ত সত্ত
র বৎসরের মধ্যে বুড়ি তাহার সন্ধান পায় নাই। এতকালপরে কোথায় তাহা মিলিবে ভাবিয়াই সে ঠাহর পায় না “। ( পথের পাঁচালী)
দুটো ভাত কাপড়ের আশায় সর্বজয়ার সমস্ত নিষ্ঠুর আচরণ তাঁকে মুখ বুঁজে সইতে হয়।একটা নির্মম সত্যের ধারক সেকালের সেই ছড়াটা তিনি এখনো বিস্মৃত হননি·–
“লাথি ঝাটা পায়ের তল
ভাত পাথরটা বুকের বল।”(পথের পাঁচালী)
ছড়ার অবয়বে যেন নিরূপায় সহায়,সম্বলহীনা বৃদ্ধার জীবনের বিধুর আলেখ্য আরো মর্মস্পর্শী হয়ে ওঠেছে।অতি তুচ্ছ নোনাফল কিনে খাওয়ার অপরাধে সর্বজয়া নির্মম ভাষায় তিরস্কার করলে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান।তাঁর বাঁ হাতে ছোট্ট একটা ময়লা কাপড়ের পুঁটলি,ডান হাতে ঝুলছে পিতলের ঘটি,বগলে পুরনো মাদুরের কাঠিগুলো ছিঁড়ে ঝুলছে, আর ইন্দির ঠাকরুন অপমানের দুর্বহ যন্ত্রণা বুকে চেপে অনির্দেশের পথে পা বাড়াচ্ছেন।এ চিত্র বড়ো পীড়াদায়ক। বড় বেশি মন কেমনকরা।
কিছুদিন এখানে ওখানে কাটিয়ে এক অবোধ্য মমত্ববোধে তাঁকে আবার ফিরে আসতে হয় সর্বজয়ার সংসারে।
হরিহরের বউ তবুও মুখ ফিরিয়েই থাকে।বিপুল ধরণীতে সম্পূর্ণ একা,নিঃসঙ্গ, অসহায়,রুগ্ন বৃদ্ধার মন থেকে আশার ক্ষীণ রেখাটাও মুছে যায়।বিশুষ্ক মরুরদেশে তিনি পথ হারিয়ে ফেলেন।নিশ্ছিদ্র অন্ধকার তাঁকে গ্রাস করতে থাকে।
চতুর্দিকে পাতাঝরার শব্দ বিনাশ আর বিলুপ্তির কথা শোনায়।বুকের ভেতর পাড় ভাঙে।
ইতোমধ্যে ঠাকরুনের জীবন-প্রবাহ ক্রমশ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হতে থাকে । তারপর একদিন পালিতদের বাড়িতে বড় মাচার তলায় গোলার পাশে ইন্দির ঠাকরুন চৈত্রের ঝরাপাতার মতই নিঃশব্দে ঝরে পড়লেন।অপমান, গ্লানি,লাঞ্চনা,গঞ্জনা, আর অবজ্ঞার অসহ পরিমণ্ডল ছাড়িয়ে হারিয়ে গেলেন দূরে বহু দূরে…।”আর ইন্দির ঠাকরুনের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিন্দিপুর গ্রামে সেকালের অবসান হইয়া গেল।”(পথের পাঁচালী)
আসলে বহমান কালপ্রবাহের অমোঘ প্রতিবিম্বই পথের পাঁচালী গ্রন্থে শৈল্পিক বিভায় দীপ্র হয়ে ওঠেছে।ইন্দির ঠাকরুনের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সেকালের অবসান লেখকের এ বক্তব্য নিরন্তর প্রবাহিত দুর্বার কালস্রোতের অপ্রতিহত গতির দিকেই পাঠক সাধারণকে প্রবলভাবে আকৃষ্ট করে।মূলত বল্লালী বালাই পর্বে ইন্দির ঠাকরুন চরিত্র চিত্রণে কোবিদ শিল্পী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় আপন স্বরূপে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠেছেন।
লেখক: জাহান আরা খাতুন, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, হবিগঞ্জ।
[প্রিয় পাঠক, পাবলিক রিঅ্যাকশনের প্রায় প্রতিটি বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। আপনার অনুভূতির কথা আমাদের লিখে পাঠান। ছবিসহ মেইল করুন opinion2mail@gmail.com এই ঠিকানায়। যে কোনো খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। পাঠকের লেখা আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।]