নারীর নিরাপত্তায় বাসে সিসি ক্যামেরা, কী ভাবছেন শিক্ষার্থীরা

::
প্রকাশ: ২ years ago

পা.রি. টিম: 
গণপরিবহন বা বাসে চলাচল করা একটা অংশ হলো শিক্ষার্থী। অনেকে নিজের অর্থ সাশ্রয় করার জন্য বাসে যাতায়াত করে তো অনেকে বাধ্য হয়ে। অর্থাৎ বাসে যাতায়াত করা জনগণদের একটা বিশাল অংশ হলো শিক্ষার্থী।

রাজধানীর মৌচাক ফ্লাইওভার নিচ দিয়ে ঢাকার একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে লোকজন যাতায়াত করে। কেউ ধানমন্ডি থেকে বনশ্রী যায় তো কেউ মুগদা থেকে সাভার, কেউবা আবার গাজীপুর থেকে সায়েদাবাদ যায়। আর যাতায়াতের রাস্তাটি থাকে মৌচাক। বাসে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করা শিক্ষার্থী বাসে সিসি ক্যামেরা লাগানো নিয়ে দিয়েছেন নানা মন্তব্য।

মুগদা থেকে আসা সিদ্ধেশ্বরী কলেজের শিক্ষার্থী মনিকা বাসে সিসি ক্যামেরা লাগানো নিয়ে নিজের মত জানালেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন না এলেও ক্লাস কিংবা পরীক্ষার সময় কলেজে আসতে হয়। কখনো বসার জন্য সিট পাওয়া যায়, তো কখনো পাওয়া যায় না। এভাবেই যাতায়াত করতে হয় প্রায় দিনই। অনেক সময় এমন হয়েছে দাঁড়িয়ে যেতে হয়েছে। এই সময়ে পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিটি শরীরে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত শরীরকে স্পর্শ করলেও কিছু বলার থাকে না। কারণ সব জায়গায় দোষ মেয়েদেরই দেওয়া হয়। তাই বাসে মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা লাগানো বিষয়টি বেশ উপকারী হবে বলে আমি মনে করি। আর যাই হোক প্রতিবাদ করার জন্য প্রমাণ থাকবে নারীর হাতে।’

ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী হিমাদ্রি বলেন, ‘আমার বাসা মোহাম্মদপুর কিন্তু আমি ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বেইলি রোড শাখায় পড়াশোনা করছি। এ কারণে আমাকে বাসে যাতায়াত করতে হয়। এই যাতায়াতে নানা অনাকাঙ্ক্ষিত কথা আমাকে শুনতে হয়। যা একটা সময় আমাকে মানসিক চাপ দিতো। আমি দীর্ঘদিন স্কুল যাব না যাব না করেছিলাম। আমি না আমার মতো অনেকেই এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করে থাকে জানি। কিন্তু তারাও হয়তো নিজের নিরাপত্তার বিষয় টি মাথায় রেখে সব কথা হজম করে নেয়। তাই নারীর নিরাপত্তায় বাসে থাকা সিসি ক্যামেরা বেশ উপকারী হবে।’

মগবাজার গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষার্থী রামিন আক্তার বলেন, ‘বাসে সিসি ক্যামেরা লাগানোর বিষয় টি সত্যিই প্রশংসিত। অনেক সময় অনেক দুর্ঘটনা বাসে ঘটে থাকে কিন্তু তার প্রমাণ থাকে না। ফলে প্রমাণ ছাড়া কোনো প্রতিবাদও করা যায় না। তাই সিসি ক্যামেরা লাগানোয় অনেক দুর্ঘটনা থেকে নারীরা বেঁচে যাবে। নিজের জন্য আওয়াজ তুলতে পারবে সকলে।’

উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর থেকে আসা স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নওরীন জাহান বলেন, ‘বাসা থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসে আসা অবদি প্রায় ঘন্টাখানিক বা তার বেশি সময় বাসে কাটাতে হয়। এই সময়ে নানা অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। কখনও নিজে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন না হলেও অন্য কাউকে সম্মুখীন হতে দেখা যায়। এসব বিষয় নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে চায় না। যার ফলে নারীরা পর্যাপ্ত ন্যায়ও পায় না। তাই যারা দূর-দূরান্ত থেকে বাসে চলাচল করে তাদের নিরাপত্তায় বাসের জন্য নেওয়া এই উদ্যোগটি বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।’