২০১৭ সালের আগস্ট মাসে স্থানীয় রাখাইন ও মিয়ানমার সেনাবাহিনী মিলে রোহিঙ্গাদের উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে তাদেরকে তাদের ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য করেছিল যা এখন সারা বিশ্ব জানে। মিয়ানমার থেকে প্রানভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা গত প্রায় সাত বছর ধরে বাংলাদেশের ক্যাম্পগুলোতে বসবাস করছে। দশকের পর দশক ধরে মিয়ানমারে পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদেরকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে পরিণত করা হয়েছে এবং তাদেরকে তাদের নাগরিক অধিকার থেকে অবৈধভাবে বঞ্চিত করা হয়েছিল। তাদের মৌলিক চাহিদা, শিক্ষা, চিকিৎসা, স্বাধীন ভাবে চলাফেরা, চাকুরী সব কিছু থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। রোহিঙ্গাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর মিয়ানমার জান্তা স্থানীয় রাখাইনদের সহযোগিতায় তাদেরকে অত্যাচার ও নৃশংসতার মাধ্যমে রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত করে।
রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের পর রাখাইন রাজ্যে অল্প কিছু সময় শান্তি ছিল। এরপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে রাখাইনের সশস্ত্র গুষ্টি আরাকান আর্মির (এ এ) তীব্র সংঘর্ষ চলতে থাকে। স্থানীয় রাখাইনরা আবার বাস্তুচ্যুত হয় এবং তাদের জীবন ঝুঁকির সম্মুখীন হয়। বহু বছর ধরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান রাষ্ট্রীয় প্রোপাগান্ডা এবং কট্টর বৌদ্ধ সংঘের ঘৃণা ছড়ানো ও তার পরিনতিতে এ পর্যন্ত রাখাইনের জনগণের কোন লাভ হয়নি। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকটের সময় রাখাইন বৌদ্ধসংঘগুলো এবং জনগণ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিল। ২০১২ সালে তারাই জাতিগত দাঙ্গার সূত্রপাত করেছিল। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক অধিকার বঞ্চিত করতে সেসময় তারা জোরালো আন্দোলন করেছিল। চলমান পরিস্থিতিতে অনেক নেতৃস্থানীয় বৌদ্ধ ভিক্ষু মনে করে যে, মা বা থা ভিক্ষুরা উগ্র জাতীয়তাবাদ ও ঘৃণা না ছড়িয়ে রাখাইনের উন্নয়নের জন্য সক্রিয় হলে জনগণের জীবনমানের উন্নতি হতো ও দেশে শান্তি বিরাজ করত। প্রত্যাবাসন কার্যকরী করতে রোহিঙ্গা ও রাখাইন জনগণের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনা ও ব্যবধান কমাতে হবে। এই সংকট সমাধানে রাখাইন-রোহিঙ্গা সম্পর্ক উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মিয়ানমারের ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) বা জাতীয় ঐক্য সরকার রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীগুলোকে নাগরিকত্ব প্রদান ও তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে নতুন সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে । এন ইউ জি রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যা উৎসাহব্যঞ্জক। এ এ রাখাইনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে। এ এ’র নেতৃত্বও রোহিঙ্গাদের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেয়েছে এবং তারা রোহিঙ্গাদেরকে আরাকানের অধিবাসী মনে করে। আরাকানে মুসলমান, বৌদ্ধ, হিন্দু এবং খ্রিষ্টানদের শান্তিপূর্ণভাবে একসঙ্গে থাকা সম্ভব বলে মনে করে এ এ আর্মি প্রধান থোয়ান ম্রা নাইং।
মিয়ানমার বর্তমানে একটি দীর্ঘস্থায়ী অস্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রাখাইনের অন্তত ৬০ শতাংশ এ এ’র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের কারনে স্থানীয় বাসিন্দারা আতংকে রয়েছে। এর পাশাপাশি সেখানে খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। রাখাইনে জান্তার চলমান অবরোধের ফলে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষের অধিকাংশই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকটে ভুগছে। রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহ দমনে জান্তা খাদ্য সরবরাহ বন্ধের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়শিবিরগুলো থেকে খাবারের সন্ধানে কেউ বাইরে গেলেও তাদের গ্রেফতার করছে। এ এ এবং রাখাইনের জনগণ জান্তার ‘ফোর কাট স্ট্র্যাটেজি’র কারনে মানবিক সংকটে রয়েছে এবং ইউনাইটেড লীগ অব আরাকান (ইউ এল এ) বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তা চাইছে, এই সময় তাদের সহযোগিতা দরকার।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ও এ এ’র মধ্যে সংঘাত বন্ধে অস্ত্রবিরতির জন্য মধ্যস্থতা করছে চীন। অস্ত্রবিরতি হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আবার আলোচনার পথ সুগম হবে বলে জানিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। মিয়ানমারে জান্তা সরকার বা বিদ্রোহী যারাই ক্ষমতায় থাকুক, বাংলাদেশের ফোকাস হবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা। জান্তা সরকার বা বিদ্রোহী, কারও পক্ষে বাংলাদেশ অবস্থান নেয়নি। বাংলাদেশ নিরপেক্ষ ভূমিকায় আছে। এই নিরপেক্ষতা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্র জোরালো করার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কর্তৃক উপস্থাপিত ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। প্রস্তাবে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো উদ্ঘাটন করে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানানো হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত ন্যাম সম্মেলনের সময় মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের অনুকূল নয় এবং মর্যাদার সাথে নিরাপদে ফেরার মত পরিবেশ তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। নিজ বসতভিটায় ফিরতে না পারার হতাশা ও ক্ষোভে রোহিঙ্গাদের অনেকে হিংস্র হয়ে উঠছে। এ অবস্থা দীর্ঘতর হলে তা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি হতে পারে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দের পরিমাণও কমানো হয়েছে। তিনি জানান যে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো খুবই জরুরি।
ভু-কৌশলগত কারনে রাখাইন একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এখনে চীন, জাপান ও অন্যান্য বৈদেশিক বিনিয়োগে বিভিন্ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব সত্ত্বেও রাখাইন মিয়ানমারের একটা অনুন্নত রাজ্য। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি এবং জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন উভয়েরই মিয়ানমারে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। জাপান বে অফ বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্টের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, জ্বালানি খাত এবং যোগাযোগ খাতে আর্থিক প্রতিশ্রুতি বাড়াচ্ছে। সেই সাথে মিয়ানমারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনর্বাসন প্রকল্পেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে।
রাখাইন রাজ্যে চীনের গভীর সমুদ্র বন্দর, গ্যাস পাইপলাইন ও অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ কয়েক শ’কোটি ডলার প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে। রাখাইনের চকপিউ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের তিনটি বৃহৎ প্রকল্পে চীনের স্বার্থ জড়িত। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হচ্ছে চকপিউ গভীর সমুদ্র বন্দর। চীনের সহযোগিতায় চকপিউতে ২৩০ কোটি ডলার ব্যয়ে ১০০ হেক্টর এলাকাজুড়ে শিল্পাঞ্চলে কৃষি, ইকোট্যুরিজম এবং শিল্প-কারখানা স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পগুলোতে রোহিঙ্গা ও রাখাইন উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ কাজ করতে পারবে এবং রাখাইনের অবকাঠামোগত উন্নয়নে অবদান রাখবে। রাখাইন অঞ্চলে চীন তার স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখতে চাইলে এ এ এবং অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সাথেও সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
কফি আনান কমিশন রিপোর্ট বাস্তবায়ন করে, যারা মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি তাদের মিয়ানমারে অবস্থানের বিষয়টি হালনাগাদের মাধ্যমে সমাজের অংশ করে নিতে হবে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবার অবাধ চলাচলের সুযোগ দিতে হবে। রাখাইনে উন্নয়ন ও বিনিয়োগের পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীগুলোও উপকৃত হতে পারে। মিয়ানমারের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সব গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সদস্যদের সম্পৃক্ত করতে হবে। আন্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টি এবং সমাজের সব সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রাখাইন প্রদেশে রাখাইনরাও মিয়ানমার সেনাবাহিনী দ্বারা নিগৃহীত এবং এখন পর্যন্ত তারা রাখাইনের উন্নয়নে তেমন কিছু করতে পারেনি। রোহিঙ্গাদের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে তাদেরকে দক্ষ জনগুষ্টিতে রুপান্তর করা গেলে রাখাইন ও রোহিঙ্গা উভয় সম্প্রদায় মিলে একটা শক্তিশালী রাখাইন গঠনে ভুমিকা রাখতে পারবে। রোহিঙ্গাদের নাগরিক সুবিধা দিয়ে তাদেরকে মূল জনস্রোতের সাথে মিলে যেতে দিলে ও সেভাবে তাদেরকে প্রস্তুত করলে রোহিঙ্গারা রাখাইনের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। এক সময় রোহিঙ্গারা আরাকানে ব্যবসা, শিক্ষা, ও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল। চাষাবাদ ও জীবিকার অন্যান্য পেশায়ও তারা অবদান রাখতে পারবে।
চীনের উদ্যোগে নেয়া পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নে মিয়ানমার সময় নিচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত তা সফলতার মুখ দেখেনি। যে গতিতে রোহিঙ্গাদেরকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তা বিবেচনা করলে বলা যায় যে প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সদিচ্ছার অভাব আছে এবং রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মিয়ানমার জান্তার মনোভাব অপরিবর্তিত রয়েছে। রাখাইনে তাদের ফিরিয়ে নেয়ার ইচ্ছা থাকলে তাদের ছেড়ে আসা গ্রামগুলোকে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করে চার পাঁচ ধাপে রোহিঙ্গাদেরকে নিয়ে যেতে হবে। এর জন্য রাখাইনে প্রস্তুতিমুলক কাজ চালিয়ে যেতে হবে। চীনের পাশাপাশি অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদেরকেও এই উদ্যোগে পাশে রাখতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জড়িত সবাইকে জান্তা সরকারের পাশাপাশি এন ইউ জি এবং এ এ’সহ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সাথেও যোগাযোগ রাখা দরকার।
মিয়ানমার থেকে বাস্তচ্যুত হয়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কারণে নানা ধরনের সমস্যার পাশাপাশি বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও পরিবেশের উপর হুমকির সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২৭ জানুয়ারি ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদলকে এ বিষয়ে অবহিত করেন। এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে প্রতি বছর ৩৫ হাজার করে নতুন শিশু জন্মগ্রহণ করছে ও রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করার কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে। সাড়ে বার লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে সক্ষম যুবকদেরকে তাদের দেশে ফিরে গিয়ে সেখানকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার বিষয়ে উৎসাহিত করতে হবে। মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে বাংলাদেশ মনে করে। উন্নত এবং শান্তিপূর্ণ রাখাইনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে রোহিঙ্গাদেরকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা এখন থেকেই নিতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করা সকল পক্ষকে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই উদ্যোগ সফল করতে হবে। স্থিতিশীল ও উন্নত রাখাইনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে রোহিঙ্গা ও রাখাইন জনগুষ্ঠির শান্তিপূর্ণ সহবস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে সহায়ক হবে।
লেখক: ব্রি. জে. (অব.) হাসান মো. শামসুদ্দীন, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এম ফিল। মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষক।
[প্রিয় পাঠক, পাবলিক রিঅ্যাকশনের প্রায় প্রতিটি বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। আপনার অনুভূতির কথা আমাদের লিখে পাঠান। ছবিসহ মেইল করুন opinion2mail@gmail.com এই ঠিকানায়। যে কোনো খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। পাঠকের লেখা আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।]