নায়ক মান্নার শেষ সিনেমা অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে

:: আনন্দধারা প্রতিবেদক | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

জনপ্রিয় প্রয়াত অভিনেতা মান্না। ২০০৮ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগে ‘জীবন যন্ত্রণা’ সিনেমাটির কাজ করছিলেন নায়ক। তবে মান্নার মৃত্যুর পর বেশ কয়েকবার মুক্তি দিতে চাইলেও নানা জটিলতায় মুক্তির অপেক্ষায় ছিল অনেক দিন।

তবে এবার মান্নাভক্তদের জন্য সুখবর হলো অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। চলতি বছর সিনেমাটি মুক্তির সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনেমার প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।

খোরশেদ আলম খসরু জানান, এরই মধ্যে ৩৫ মি.মি. থেকে ডিজিটালে রূপান্তরের কাজ চলছে। এমনকি সেটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। তারপর এ বছর বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে।

খোরশেদ আলম খসরু আরও বলেন, তখনকার সময়ে এটা অনেক বিগ বাজেটের একটা ছবি ছিল। প্রায় ১৫ বছর হয়ে গেল মান্না মারা গেছে। এখনও তার অনেক ভক্ত-অনুসারী আছে, যাদের অনেকেই আমাকে ফোন করে ছবিটির বিষয়ে জানতে চান, দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। আগে মান্নার ছবি মানেই ছিল হাউসফুল। এখন এতদিন পর মান্নার সিনেমা মুক্তি পেলে, জানি না দর্শক সেটা কীভাবে নেয়। তবে আশা করছি, ভালো সাড়া পাব।

সিনেমাটি ডিজিটালে রূপান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা জাহিদ হোসেনও। তিনি বলেন, সে সময় ৩৫ মি.মি. কোডাক নেগেটিভে শুট করেছিলাম মান্নার এই ছবি। বর্তমান সময়ে তা সিনেমা হলে প্রদর্শনের উপযুক্ত নয়। সেই কারণেই ওই নেগেটিভকে ডিজিটালে কনভার্ট করা হচ্ছে।

জানা গেছে, এরই মধ্যে সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডের আনকাট ছাড়পত্রও পেয়েছে। ফলে ‘জীবন যন্ত্রণা’ মুক্তিতে কোনো বাধা নেই।

প্রসঙ্গত, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যৌনপল্লীগুলোর পরিস্থিতি, যৌনকর্মীদের ভেতরকার দ্বন্দ্ব, স্বাধীনতার সময়ে কারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বা বিপক্ষে ছিল-এমন বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘জীবন যন্ত্রণা’ সিনেমায়। এতে মান্না ছাড়াও অভিনয় করেছেন মৌসুমী, পপি, মিশা সওদাগর, শাহনূর, মুক্তি, দীঘি, বাপ্পারাজ, আলীরাজ, আনোয়ারা, শহিদুল আলম সাচ্চুসহ অনেকে।


[প্রিয় পাঠক, পাবলিক রিঅ্যাকশনের প্রায় প্রতিটি বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। আপনার অনুভূতির কথা আমাদের লিখে পাঠান। ছবিসহ মেইল করুন opinion2mail@gmail.com এই ঠিকানায়। যে কোনো খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। পাঠকের লেখা আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।]