আ.লীগের সভায় ব্যারিস্টার সুমনের উপস্থিতি নিয়ে হট্টগোল

:: পা.রি. ডেস্ক | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

জেলার চুনারুঘাটে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা করায় নেতাকর্মীদের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে। মাইক কেড়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটে এসময়।

রোববার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে জেলার চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। পরে দলের শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিয়ম সভা করে চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ। এতে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম আকবর হোসেইন জিতুর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কাদির লস্কর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহেরসহ শীর্ষ নেতারা।

সভায় সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাথী মুক্তাদির চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজকে সংসদ সদস্যের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যে মতবিনিময় সভার আহ্বান করা হয়েছে, এটি দলীয় সিদ্ধান্ত কি না। ব্যারিস্টার সুমনকে আওয়ামী লীগ গ্রহণ করেছে কি না সেটিও তিনি জানতে চান।’

তখনই উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কয়েকজন মুক্তাদির চৌধুরীর হাত থেকে মাইক কেড়ে নেয় এবং বেশ কয়েকজন তার দিকে তেড়ে যান। এনিয়ে বেশ কিছুক্ষণ হট্টগোল হলে সভাপতি আকবর হোসেইন জিতু মাইক হাতে নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।

কিন্তু তখনও নেতাকর্মীরা হট্টগোল থামাননি। পরে ব্যারিস্টার সুমন মাইক হাতে নিয়ে নেতাকের্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

তিনি বলেন, আপনারা সবাই আমার অভিভাবক। এখানে অনেক নেতা আছেন, যাদের রাজনীতির অভিজ্ঞতা আমার বয়সের চেয়ে বেশি। আমি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হলেও আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। নেত্রীর কথা অনুযায়ী প্রার্থী হয়েছি। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আপনাদের সঙ্গে আজ মতবিনিময় করতে এসেছি।

ঘটনার পর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত সভাপতি আকবর হোসেইন জিতু ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলীর মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল সুমনের মোবাইল নম্বরে কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

সভায় কী কারণে হট্টগোল হয়েছে জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না, আওয়ামী লীগের অন্য কাউকে জিজ্ঞেস করুণ।’