নির্বাচনে ধরাশায়ী যেসব হেভিওয়েট প্রার্থী

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১২ মাস আগে
ওপরের বাঁ থেকে মাহবুব আলী, এনামুর রহমান, স্বপন ভট্টাচার্য, হাসানুল হক ইনু, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ফজলে হোসেন বাদশা, তৈমুর আলম খন্দকার, শমসের মবিন চৌধুরী

সকল বাধা উপেক্ষা করে অবশেষে অনুষ্ঠিত হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে ২২২ আসন পেয়ে আবারও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগোরিষ্ঠতা পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন। নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় নৌকার প্রার্থীদের সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বেশির ভাগই আবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা। তারা জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোতেও লাঙ্গলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনি লড়াইয়ে এবার সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, দলের শীর্ষ নেতা, সমৃদ্ধ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার-সম্পন্ন পার্লামেন্টারিয়ানদের অনেকে ধরাশায়ী হয়েছেন।

ধরাশায়ী হেভিওয়েট প্রার্থীরা হলেন—

 ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান

ঢাকা-১৯ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম। সাইফুল পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট আর তৃতীয় স্থানে থাকা এনামুর রহমান পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট। এই আসনে আওয়ামী লীগের আরেক নেতা সাবেক সংসদ সদস্য তৌহিদ জং মুরাদ ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৭৬ হাজার ২০২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য

যশোর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য নৌকা প্রতীক নিয়ে ৭২ হাজার ৩৩২ ভোট পেয়েছেন। ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াকুব আলী ৭৭ হাজার ৪৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু

বরাবরের মতো এবারও দলীয় নির্বাচনী প্রতীক মশাল ছেড়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীকে কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে লড়াই করেন। তবে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিনের কাছে পরাজিত হয়েছেন। এ আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে কামারুল পেয়েছেন ৯৮ হাজার ৮৯৬ ভোট। ইনু পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৭৯ হাজার ৭৩৫ ভোট।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের শরিক হিসেবে জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে পিরোজপুর-২ আসন ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ফলে তিনি এবার নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটে লড়াই করেন। সেই লড়াইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজের কাছে হেরে যান মঞ্জু। মহিউদ্দিন ঈগল প্রতীকে ৯৯ হাজার ৭২৪ ভোট পেয়েছেন। আর মঞ্জু নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭০ হাজার ৩৩৩ ভোট।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়ের কাছে হেরে গেছেন। এ আসনে অনুপম শাহজাহান ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়েছেন। কাদের সিদ্দিকী গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট। এ আসনে ভোট পড়েছে ৪২ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

কাজী জাফর উল্যাহ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও বহুল আলোচিত ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন টানা তৃতীয়বারের মতো জয় পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ এ আসন থেকে টানা তিনবার হেরেছেন। ঈগল প্রতীকে নিক্সন এক লাখ ৪৮ হাজার ৩৫ ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছেন। অন্যদিকে নিক্সনের কাছে টানা তৃতীয়বারের মতো পরাজিত হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন নৌকার প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহ। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ২৪ হাজার ৬৬ ভোট। সে হিসাবে নিক্সন চৌধুরী ২৩ হাজার ৯৬৯ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন।

ফজলে হোসেন বাদশা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকের ফজলে হোসেন বাদশা কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশার কাছে পরাজিত হয়েছে। এ আসনে অধ্যক্ষ শফিকুর পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৯০৬ ভোট। ফজলে হোসেন বাদশা পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৬৬ ভোট। রাজশাহী-২ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৫২ হাজার ৭৮২ জন।

মেহের আফরোজ চুমকি

গাজীপুর-৫ আসনে ৮২ হাজার ৭২০ ভোট পেয়ে ট্রাক প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি-জিএস আখতারউজ্জামান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকা প্রতীকের বর্তমান এমপি মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৭৮৩ ভোট।

শেরীফা কাদের

ঢাকা-১৮ আসনে স্বতন্ত্রী প্রার্থী মো. খসরু চৌধুরীর কাছে হেরে গেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্ত্রী এবং দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেরীফা কাদের। নির্বাচনে কেটলি প্রতীকে খসরু চৌধুরী ৭৯ হাজার ৮৫টি ভোট পেয়েছেন। শেরীফা কাদের ৬ হাজার ৪২৯টি ভোট পেয়ে তিনি তৃতীয় হয়েছেন।

তৈমুর আলম খন্দকার

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে। নির্বাচনী মাঠে ভোটের লড়াইয়ে তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেননি। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট। এদিকে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া কেটলি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট।

শমসের মবিন চৌধুরী

সিলেট-৬ আসনে চমক দেখিয়ে ১৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ আসনে নাহিদ পেয়েছেন ৫৮ হাজার ১২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৮৭ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৫৮ ভোট।

আবদুস সোবহান গোলাপ

মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ড. আবদুস সোবহান গোলাপ । কিন্তু দিন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগমের কাছে হেরে গেছেন। তাহমিনা বেগম পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৬৩৩ ভোট। গোলাপ পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯ শ ৭১ ভোট।

মেহের আফরোজ চুমকি

গাজীপুর-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকিকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাকসুর সাবেক ভিপি আকতারুজ্জামান। ট্রাক প্রতীকের আখতারউজ্জামান পেয়েছেন পেয়েছেন ৬২ হাজার ৯৪০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৯৬ ভোট। ভোটের ব্যবধান ১২ হাজার ২৪৪।

কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম

মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর ট্রাকে বিধ্বস্ত হয়েছেন তিনবারের এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। ট্রাক প্রতীকে টুলু পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৫২৫ ভোট। অন্যদিকে, নৌকা প্রতীকে মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৭৮ হাজার ২৬৯ ভোট। ট্রাকের প্রার্থী ৬ হাজার ২৫৬ ভোট বেশি পেয়েছেন।

সালমা ইসলাম 

ঢাকা-১ আসনে আবারও এমপি নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৫ ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেন। তিনি পান ১ লাখ ৫০ হাজার ৫ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালমা ইসলাম পান ৩৪ হাজার ৯৩০ ভোট।

মসিউর রহমান রাঙ্গা 

আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া রংপুর-১ আসনে পরাজিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গা। এই আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু কেটলি প্রতীকে সর্বোচ্চ ৭৩ হাজার ৯২৭টি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মসিউর রহমান রাঙ্গা ট্রাক প্রতীকে পান ২৪ হাজার ৩৩২ ভোট।

ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু

বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে হেরে গেছেন পাঁচবারের সংসদ সদস্য (এমপি) ও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। এই আসনে জয় পেয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার টুকু। ঈগল প্রতীকের গোলাম সরোয়ার টুকু পেয়েছেন ৬১ হাজার ৭৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার ফোরকান পেয়েছেন ৫৮ হাজার ১৪৭ ভোট। আর ৫৪ হাজার ১৬৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন নৌকা প্রতীকের ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।

রুস্তম আলী ফরাজী

পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে ৬২ হাজার ১৩০ ভোট পেয়ে কলারছড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শামীম শাহনেওয়াজ নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. রুস্তম আলী ফরাজী। তিনি পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৬২১ ভোট।

বিএনএম নেতা আবু জাফর

ফরিদপুর-১ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর পরাজিত হয়েছেন। মাত্র ২২ হাজার ৪৬৫ ভোট পেয়ে তিনি জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে আসনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নৌকার প্রার্থী আব্দুর রহমান ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৯৮৯ ভোট।

শামীম হায়দার পাটোয়ারী

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার (ঢেঁকি) ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে। নিকটতম লাঙ্গলের প্রার্থী শামীম হায়দার পাটোয়ারী পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট।

মাহী বি চৌধুরী

মুন্সীগঞ্জ-১ (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ এক লাখ দুই হাজার ৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এই আসনে ভরাডুবি হয়েছে কুলা মার্কার প্রার্থী মাহি বি চৌধুরীর। তিনি পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৩৩ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবির ট্রাক প্রতীকে ৬১ হাজার ৯৮০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।

বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী

হবিগঞ্জ-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী এক লাখ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের কাছে। ঈগল প্রতীক নিয়ে ব্যারিস্টার সুমন পেয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট। মাহবুব আলী পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৫৪৩ ভোট।