মাহিয়া মাহিকে জুতা মারার হুমকি

:: পা.রি. ডেস্ক | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১১ মাস আগে

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন। ইতোমধ্যে ‘ট্রাক’ প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন তিনি। প্রচারণার মাঠে নানান প্রতিশ্রুতিও দিয়ে যাচ্ছেন মাহি।

সেইসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই স্বতন্ত্র প্রার্থী গত কয়েকদিন ধরে নিজের প্রচার-প্রচারণায় এ আসনের নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে নানা মন্তব্য বলছেন।

ফারুক চৌধুরীর নানা বিতর্ক সামনে এনে তিনি এবার তাকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। এসব কারণে মাহিয়া মাহিকে এবার জুতা মারার হুমকি দিয়েছেন নৌকার প্রার্থীর এক সমর্থক।

শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক ভিডিওতে মাহিকে জুতা দেখিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আপনার মতো মাহিয়া মাহিকে, এই যে দেখছেন এই জুতা? এই জুতা দিয়ে, একদম জুতা দিয়ে পিটানো উচিত আপনার মতো মেয়েকে। কারণ, আপনি এমন একটা মেয়ে আপনার মা এই চলচ্চিত্র জগতে যাওয়ার আগে আপনাকে নিষেধ করেছেন। ’

ওই যুবক যদিও কিছুক্ষণ পর সেই ভিডিও ফেসবুক আইডি থেকে মুছে ফেলেন।

জানা গেছে, এই যুবকের নাম মাহাবুর রহমান মাহাম। বাড়ি তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের কালনা পূর্বপাড়া গ্রামে। বাবার নাম মৃত ছদের আলী। তিনি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের রাজশাহী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেড়ান বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে যোগাযোগ করা হলে মাহাম জানিয়েছেন, বর্তমানে দলীয় কোন পদ নেই তার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের গাড়ি ভাঙচুর মামলার আসামি তিনি। সে মামলা এখনও চলমান।

মাহাম ভিডিওতে মাহিয়া মাহি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। কারা সিনেমায় যায়, সেই প্রশ্নও তোলেন। বলেন, ‘আপনার মতো মাহিয়া মাহির দ্বারা তানোর-গোদাগাড়ীর উন্নয়ন তো দূরের কথা; হাজারো ছেলে নষ্ট হবে। আপনার মতো দুশ্চরিত্রা মহিলা থাকলে। আপনার মতো বেয়াদব মহিলাকে আমি এখনও বলছি, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে আর একটা যদি বাজে মন্তব্য কখনও করেন, আপনাকে জুতা দিয়ে পিটানো উচিত। আপনি ওমর ফারুক চৌধুরীর বাসার কাজের মেয়ের যোগ্য না। ’

এ আসনের নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি। অভিযুক্ত পক্ষের সঙ্গে আমার কথা বলার প্রয়োজন নেই। কথা বলিওনি। তবে যাকে নিয়ে কথা বলেছে, সেই পক্ষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। একটা অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ দিলে মাহামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।