ভারতীয় সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলেই ছুটে আসবে এক ঝাঁক মৌমাছি। সেনা জওয়ানদের পাশাপাশি এবার ‘প্রশিক্ষিত’ মৌমাছিদের সীমান্ত পাহারায় কাজে লাগানোর কথা ভাবছে বিএসএফ। টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বিএসএফের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এই ব্যবস্থার মহড়া চলছে এখন। সফল হলে পুরোপুরিভাবে তা চালু হবে সীমান্তে। এই প্রথম বাংলাদেশ সীমান্তে মৌমাছির বাক্স বসিয়ে ‘জৈব প্রতিরক্ষা’ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে বিএসএফ।
ভারতের নদিয়ায় ২২২ কিলোমিটারজুড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। ওই গোটা এলাকাই এই ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইছে বিএসএফ। ইতিমধ্যেই নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের কাঁদিপুর অংশে কাঁটাতারের পাশে মৌমাছি চাষ শুরু হয়েছে। সীমান্ত লাগোয়া অংশে বসানো হয়েছে মৌমাছির খাঁচা।
সীমান্তের কাঁটাতার নড়ে উঠলেই খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসবে মৌমাছিরা। আক্রমণ করবে অনুপ্রবেশকারী কিংবা চোরাচালানকারীদের ওপর। কাঁটাতার পেরিয়ে লুকানোর চেষ্টা করলেও তাঁদের ধাওয়া করবে তারা। এভাবেই তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
শুধু মৌমাছির বাক্সই নয়, কাঁটাতার বরাবর বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদ চাষেরও পরিকল্পনা নিচ্ছে বিএসএফ। শতমূলী, এলাঙ্গি, তুলসী ও অ্যালোভেরার মতো বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদ চাষ করে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান দিতে চাইছে বিএসএফ।
বিএসএফের এই উদ্যোগ ভারতের ‘ভাইব্রান্ট ভিলেজারস প্রোগ্রামের’ অংশ। এই পদ্ধতি চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলোতে ব্যবহার করা হয়।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এ কে আর্য বলেন, ‘জৈব প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং ভেষজ উদ্ভিদের চাষ শুরু হচ্ছে সীমান্তে। সফল হলে বড় এলাকাজুড়ে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা যাবে।’
বিএসএফের এক কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘ভারত সীমান্ত প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে নিরাপদ ও কার্যকরী করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানকারীদের ঠেকাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হলেও এটি সীমান্তের ভারতীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভবান করবে।’