প্রতীক বরাদ্দের পর সারাদেশে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা। জাতীয় পার্টি ও শরীকদের জন্য ৩২টি আসনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে মূল লড়াইটা হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। দেশব্যাপী স্বতন্ত্র চ্যালেঞ্জে রয়েছেন নৌকার মাঝিরা।
শক্তির জানান দিয়ে মাঠ দখলের চেষ্টায় প্রার্থীরা। জমজমাট প্রচারণায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এতে বেড়েছে সংঘাত সংঘর্ষের শঙ্কাও। নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অন্তত দেড়শ আসনে নৌকা প্রতীকের গলার কাঁটা ঈগল, ট্রাক। সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান তাদের।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচনার খোরাক জোগাচ্ছে সাতশ’র বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী। যেখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত আড়াইশ’র বেশি। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বিপরীতে যারা স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন, তাদের কেউ সাবেক সংসদ সদস্য, কেউ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ ছেড়েছেন। আবার অনেকেই দলের স্থানীয় পর্যায়ে পদধারী নেতা। অন্তত ১৫ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই করে জিততে হবে।
স্বতন্ত্রদের তোপের মুখে পড়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মুখোমুখি আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী। মাঠের লড়াইয়ে নৌকার প্রার্থীকে একচুলও ছাড় দিতে চান না ঈগল, ট্রাকের প্রার্থীরা।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভোটের সমীকরণ বেশ জটিল করে তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
সিনিয়র সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ডজন খানে মন্ত্রী বেশ ঝুঁকিতে আছেন। সংসদ সদস্যের সংখ্যা আরও বেশি। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এই নির্বাচনে বড় ভূমিকা থাকবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনালের (অব.) মুহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে বলে আমরা মনে করি। এ জন্য আমরা আশা করি, বিষয়টি নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নেবে।
নির্বাচনী প্রচারণায় অন্য দলের প্রার্থীরা এখনো তেমন সরব না হলেও মাঠে সক্রিয় স্বতন্ত্ররা। বাকিরা মাঠে নামলে নির্বাচনী পরিবেশ আরও জমজমাট হবে বলেই মনে করেন নির্বাচন পর্যবেক্ষরা।