বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন ১৪ ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শহিদ বুদ্ধিজীবী এবং বীর শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে পাক-বাহিনীর নৃশংসতাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান পুনঃব্যক্ত করেন এবং এই স্বীকৃতি আদায়ে জন্য ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের বিশেষ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
হাইকমিশনার বলেন, ‘পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে শত শত বুদ্ধিজীবীকে নির্মমভাবে হত্যাসহ নয় মাসব্যপী যে গণহত্যা চালিয়েছে, তা অন্যান্য দেশের স্বীকৃত গণহত্যার চেয়েও মর্মান্তিক ও ভয়াবহ। এই গণহত্যার প্রতিবাদে ও স্বীকৃতির জন্য ‘বাংলাদেশ অ্যাকশন কমিটি’সহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিরা ১৯৭১ সালে যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন সেজন্য হাইকমিশনার তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য দেশে-বিদেশে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয় এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যসহ শহিদ বুদ্ধিজীবী এবং ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জালাল উদ্দিন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি সৈয়দ আনাস পাশা।