অভিবাসী ইস্যুতে বরাবরই কঠোর মনোভাব পোষণ করে আসছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিনি মন্তব্য করেছেন, অবৈধ অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের রক্ত দূষিত করছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, শনিবার মার্কিন অঙ্গরাজ্য নিউ হ্যাম্পশায়ারে নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন।
প্রচারণায় তিনি মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। এ সময় তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিষিদ্ধ ও বৈধ অভিবাসনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
নিউ হ্যাম্পশায়ারের ডারহাম শহরে এক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় ট্রাম্প বলেন, দক্ষিণ আমেরিকাসহ এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যুক্তরাষ্ট্রে আসছে। তারা আমাদের দেশের রক্ত দূষিত করছে। সমগ্র বিশ্ব থেকেই তারা আমাদের দেশে ভিড় জমাচ্ছে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ডানপন্থি ওয়েবসাইট দ্য ন্যাশনাল পালসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প একই বক্তব্য দিয়েছেন। তখন অ্যান্টি-ডিফেমেশন লিগ তার এ মন্তব্যের তিরস্কার করে। লিগের নেতা জনাথান গ্রিনব্ল্যাট এ ভাষাকে ‘বর্ণবাদী, জেনোফোবিক এবং অত্যন্ত ঘৃণ্য’ বলে আখ্যা দেন। জেনোফোবিয়া হলো অজ্ঞাত ভীতি বা অজানার প্রতি ভয়।
ইয়েলের অধ্যাপক এবং ফ্যাসিবাদ বিষয়ে বইয়ের লেখক জেসন স্ট্যানলি বলেছেন, ট্রাম্পের বারবার এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা বিপজ্জনক।
তিনি বলেন, ট্রাম্পের কথায় নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলারের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়। কারণ হিটলারও তার রাজনৈতিক গ্রন্থ ‘মেইন ক্যাম্প’-এ ইহুদিদের মাধ্যমে জার্মান রক্তে বিষ প্রয়োগের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন।
গত অক্টোবরে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার মুখপাত্র স্টিভেন চেউং সাবেক এ প্রেসিডেন্টের ‘উদ্ভট’ ভাষার সমালোচনা উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন বই, সংবাদ প্রতিবেদন ও টিভিতে এই ভাষা প্রচলিত। শনিবার ট্রাম্পের এ মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে চেউং এর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।