মুশফিকের আউটের ব্যাখ্যা দিলো আইসিসি

:: স্পোর্টস ডেস্ক | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১ বছর আগে

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমদিনে অদ্ভুতভাবে আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ৪১তম ওভারে নিউ জিল্যান্ডের পেসার কাইল জেমিনসনের বল ব্যাকফুটে খেলেছিলেন মুশফিক। বল তার ব্যাটে লেগে পয়েন্টের দিকে যাচ্ছিল।

কিন্তু মুশফিক হঠাৎ সেই বল ডান হাত দিয়ে সরিয়ে দেন। নিউ জিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা এতে ‘হ্যান্ডল্ডিং দ্যা বল’ আউটের আবেদন করেন। থার্ড আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লে দেখে মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন।

তার মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের এমন আউটে যারপরনাই হতাশ হয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা।

রাতে অবশ্য মুশফিকের এই আউটের ব্যাখ্যা দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। সেখানে এই আউটের আইন ও সে সংক্রান্ত বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, ধারা ৩৭.১.১ অনুযায়ী ব্যাটসম্যান যদি বল খেলার মধ্যে থাকাকালে ইচ্ছাকৃতভাবে কথা বা কাজের মাধ্যমে ফিল্ডিং দলকে বাধা দেন কিংবা মনোযোগ নষ্ট করেন, তবে তিনি আউট হবেন। তবে ৩৭.২ ধারা মতে, আঘাত থেকে বাঁচতে এমন কিছু করলে ব্যাটসম্যান আউট হবেন না।

ধারা ৩৭.১.২ অনুযায়ী বোলার বল করার পর ব্যাটসম্যান যদি যে হাতে ব্যাট ধরা নেই সেই হাত দিয়ে বলে আঘাত করেন বা ছুঁয়ে সরিয়ে দেন তবে আউট ঘোষিত হবেন (ব্যতিক্রম ৩৭.২ ধারা)। সেটি প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা আরও পরে ছোঁয়ার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বল খেলার সময় যেমন তেমনি এরপর ব্যাটসম্যান কিংবা নন স্ট্রাইকার ব্যাটসম্যান উইকেট বাঁচানোর চেষ্টা করার সময়েও এই আইন প্রযোজ্য।

ব্যাট লাগার পর যেহেতু বলটি তখনও ডেড হয়নি অর্থাৎ খেলার মধ্যে ছিল এবং মুশফিক সেটাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ঠেলে দিয়েছেন সেহেতু উপরোক্ত আইন অনুযায়ী ৮৫ বল খেলে ৩৫ রান করে তাকে ড্রেসিংরুমে ফিরে যেতে হয়।

বিবৃতিতে আইসিসি আরও জানায়, ২০১৭ সালে ‘হ্যান্ডলিং দ্য বল’ থেকে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ হওয়ার পর টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এমন আউট হন মুশফিক। তার আগে ৭ জন ব্যাটসম্যান ‘হ্যান্ডলিং দ্য বল’ আউট হয়েছিলেন।