২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
করোনা পরবর্তী বৃহত্তম হজের মূল আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকে পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করে মিনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছেন।
মসজিদুল হারাম থেকে সাত কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত মিনায় তারা আগামীকাল সারাদিন ও সারারাত অবস্থান করবেন। পরদিন ৯ জিলহজ ফজর নামাজ পড়ে সেখান থেকে আরাফা প্রাঙ্গণে যাবেন সবাই।
হজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। সামর্থ্যবান মুসলিমদের অন্তত একবার তা পালন করতে হয়। প্রতিবছর বিশ্বের লাখ লাখ মুসলিম পবিত্র হজ পালন করতে ইহরাম পরে মক্কায় সমবেত হন। কভিড-১৯ বিধি-নিষেধের কারণে গত তিন বছর সবাই হজ পালনের সুযোগ পাননি।
এ বছরের শুরুতে বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার ঘোষণার পর এটিই সর্ববৃহৎ হজ। গত ২৩ জুন পর্যন্ত বিশ্বের ১৬০টি দেশ থেকে ১৬ লাখ ২৬ হাজার পাঁচ শ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেন। এবার ২০ লাখের বেশি মানুষ হজ পালন করতে মক্কায় জমায়েত হয়েছে।
এ বছর আরাফার দিনের খুতবা বাংলাসহ ২০টির বেশি ভাষায় অনুবাদ করা হবে।
সেদিন হাজিদের উদ্দেশে মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেবেন সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শায়খ ড. ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সায়িদ। বিশ্বের ৩০ কোটির বেশি মানুষের কাছে ইসলামের শান্তিপূর্ণ বাণী পৌঁছে দিতে অনুবাদ কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করছে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগ।
করোনার আগের বছর ২০১৯ সালে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ হজ করেছেন। করোনা মহামারিরোধে ২০২০ সালে কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যে সৌদিতে বসবাসরত ১০ হাজার ও ২০২১ সালে ৬০ হাজার লোক হজ পালন করেন। ২০২২ সালে করোনবিধি মেনে বিশ্বের প্রায় ১০ লাখ লোক হজ পালন করেন।
