আ.লীগ নেতাদের ভারতে পালানোর অন্যতম মদদ দাতা এন আই খান

::
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে

২০১৬ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম (এন আই) খানকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর পদে নিয়োগ দেন। তার আগের বছর, ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর অবসরে গিয়েছিলেন তিনি। কথিত আছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে ঘনিষ্ট সর্ম্পকের পুরষ্কার হিসেবে তিনি জাদুঘরের কিউরেটর পদে নিয়োগ পান।

এমনকি শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ও প্রভাবশালী হওয়ায় অবসরের পর এনজিও ব্যুরো এবং প্রধানমন্ত্রী অফিসের হস্তক্ষেপে তিনি উদ্দীপন নামক একটি এনজিও এর চেয়ারম্যান পদে পুরস্কৃত হন।

৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের পর সেই স্মৃতি জাদুঘর আর নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগের আজ্ঞাভাজন এই আমলা এখনো নিজেকে কিউরেটর হিসেবে পরিচয় দেন। যে কোনো পর্যায়ের ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক পরিচয়ের ক্ষেত্রে এখনো কিউরেটর পরিচয়কে প্রাধান্য দেয়ায় নতুন করে আলোচনায় এসেছেন তিনি।

অনেক দূর্নীতিবাজের মতো তিনিও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে গেছেন। কিউরেটর হিসেবে পরিচয় দিয়ে গোপন স্থান থেকে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন তিনি।

এদিকে, ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে, যশোর সীমান্ত দিয়ে আওয়ামী লীগ অনেক শীর্ষ নেতার সীমান্ত পার করে দেয়ার মূল কাজটি করেন সাবেক সচিব এন আই খান। যশোরের বাড়ি হওয়ার সুবাদে জেলায় নিয়োগ প্রাপ্ত পুলিশ ও বিজিবি এর অনেক কর্মকর্তা এই সচিবের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। অভিযোগ আছে, এখনো কেউ কেউ যশোর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে চাইলে এই রুটটি ব্যবহার করেন।

জানা গেছে, আওয়ামীপন্থি আমলা হয়েই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি দূর্নীতিতে সম্পৃক্ত থাকার কারণে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছিলেন। সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়া পিকে হালদারের ‘সহযোগী’ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয় হাইকোর্ট। এর মধ্যে অন্যতম ছিলেন এন আই খান। যদিও তিনি এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রভাব ব্যবহার করার অভিযোগ উঠে। যে কারণে একই বছরের ২৪ জানুয়ারি সেই আদেশ শুধু সাবেক সচিব এন আই খানের ক্ষেত্রে স্থগিত করে চেম্বার আদালত।

অজ্ঞান স্থানে লুকিয়ে থাকায় এ সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে এনআইখানের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।