অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ সংগঠনের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তাফা, সংগঠক মাহবুব আলম চৌধুরী, এডভোকেট জিয়াউর রহমান, মেহেদী হাসান, কামাল হোসেন আজাদসহ সারাদেশে ২৪ নভেম্বর রাতে ও ২৫ নভেম্বর সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, যুবশক্তির প্রধান উপদেষ্টা হানিফ বাংলাদেশী, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সেখ নাছির উদ্দিন, বিপ্লবী ছাত্র—জনতার আহ্বায়ক আবু তৈয়ব হাবিলদার, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পূর্ব ঘোষিত জাতীয় সমাবেশের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নিকট সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দের আবেদন জানানো হয়েছিল। রাষ্ট্রের আইন ও নিয়ম—কানুন মেনে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়। অথচ সমাবেশের প্রস্তুতিকালে ও সমাবেশে আসার প্রাক্কালে সারাদেশের সাধারণ মানুষের উপর আকস্মিক পুলিশী হামলা চালানো হয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর সকালে ঢাকার শাহবাগ, সদরঘাট, যাত্রাবাড়ী, গাবতলী, মহাখালীসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ এবং অপরিচিত যুবকরা সমাবেশে আসা নারী, শিশু, বৃদ্ধ সহ সকল বয়সী মানুষদের উপরে হামলা চালায়। আমরা এই হামলার নিন্দা জানাই। বিনা উস্কানিতে হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানাই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশবাসী জানেন, দেশ থেকে গত ১৬ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে এই পাচারকৃত টাকা ফেরত আনার জন্য একটা কমিশন গঠনের দাবিতে গত ২০২০ সাথে থেকে সারাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ করার জন্য কাজ করছে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ। গত সেপ্টেম্বর মাসে এই বিষয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। ঐদিন ২৫ নভেম্বর ২০২৪ তারিখের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা এই সরকারের বিরুদ্ধে নই। পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপকে আমরা সমর্থন ও স্বাগত জানাই। আমরা এই সরকারের স্পিরিটকে ধারণ করি। সকল গণমাধ্যমকে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের আহ্বান জানাচ্ছি।
[প্রিয় পাঠক, পাবলিক রিঅ্যাকশনের প্রায় প্রতিটি বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। আপনার অনুভূতির কথা আমাদের লিখে পাঠান। ছবিসহ মেইল করুন opinion2mail@gmail.com এই ঠিকানায়। যে কোনো খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। পাঠকের লেখা আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।]