আনুপাতিক পদ্ধতি নির্বাচন | মোহাম্মদ নবী আলম

:: মোহাম্মদ নবী আলম ::
প্রকাশ: ১ সপ্তাহ আগে

আনুপাতিক নির্বাচনে আসনিক কোনো পদ্ধতি থাকবে না। ভোটাররা ভোটে গণে সংখ্যায়ন। একটি দল যত শতাংশ পরিমাণ দিতে হবে, সে অনুপাতে সংসদের আসন বণ্টন করতে হবে। যেমন, যদি ৩০০ আসনের মোট প্রদত্ত ভোটের শতকরা ১ ভাগ কোনো দল পায়, সেই দলটি আনুপাতিক হারে সংসদের ৩টি আসন পাবে। কোন পদ্ধতিতে কোন দল কত পেল, তা কোন বিবেচ্য নয়। কত আসন পেল, গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ। আরও, বিদ্যমান আইনে প্রতিদ্বন্দ্বী দল না থাকলে একক ভোটকে ছাড়াই বিজয়ী পাস করা যায়। বর্তমান পদ্ধতিতে কোনো দলকে সরকার গঠন করতে হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেতে হবে। এককভাবে না খারাপ প্রতিক্রিয়া সরকার করা যায়। আনুষঙ্গিক পদ্ধতি নির্বাচন করতে হলে কোনো বাধা প্রয়োগ করে সরকার গঠন করা সম্ভব।

গত ৫ আগস্ট পিত শেখ সরকার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনুসে অন্তবর্তী সরকার গঠনের পর থেকে নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। দেশ নির্বাচন অঙ্গনে আনুপাতিক পদ্ধতি চালু করতে নতুন নয়। কিছু ঘটনা অনেক দিন ধরেই এই দলটি। এবং এ নিয়ে বিভিন্ন সময় বহু সেমিনারে আলোচনা ও চিঠিপত্র বিস্তর লিখিত হয়েছে, এখনও হচ্ছে। একাত্তরে দেশ স্বাধীনের পর সংবিধানের খসড়া প্রণয়নে ড. কামাল হোসনে প্রধান করে ৩৪ সদস্যের কমিটি করা হয়েছিল। ১৯৭২ সালে গণপরিষদে খসড়া সংবিধানের ওপর ক্ষমতাসীন সদস্য দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে কিছু সংশোধনী প্রস্তাব দেন। এই সদস্য সদস্যের মধ্যে শ্রী সুরঞ্জিৎনগুপ্ত ছাড়া হাবুর রহমান, আছাদ ক্ষমতা খান, এ মুশারফ হোসেন আখন্দ, আব্দুল মুন্তিকম চৌধুরী ও ডা: পার্টিশ চন্দ্র মন্ডল ছিলেন সংসদ সদস্য। বায়ান্ন বছর হাফেজ হাবীবুর রহমান গণপরিষদে আনুপাতিকতা ও দুকক্ষ বিশেষ সংসদ সম্পর্কে প্রস্তাব। প্রধানমন্ত্রী শেখপুর রহমান গণপরিষদের ভাষণে গণতন্ত্র, গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোটের শব্দবার লেখক। লেখক, বৈষম্যহীন ও শোষণহীন সমাজের কথা, মানুষের অধিকারের কথা। ভাষা একযোগে তিনি কেঁদেও বলেছেন। একজন নেতা ও নেতাকে নিয়ে আমি বলতে বলতে কেউ একজন উত্তরদাতা বা ফ্যাসিস্ট ডোসর ট্যাগ লাগিয়ে দিতে পারেন। পনেরো বছর পতি শেখত লোকের মত বিরোধিতা করে কেউ কেউ তাকে তার কাছের লোক, বিএনপি, প্লে-শিবির, রাজার এমনকি জঙ্গী ট্যাগ লাগানো হেনস্তা করা। বৈষম্য ছাত্র ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতিত সরকার প্রধান শেখের পক্ষে ভারতে ট্যাগরি গারিবিলাস নিয়ে রাজনীতিক। কিন্তু না, ট্যাংক গেরুয়াল বহাল তবিয়তে জায়গা হবে না। তাই ভয় হয় নিজের সম্পর্কেও কথা বলতে গিয়ে ফ্যাকাস্ট না হওয়া। বাংলাদেশ ব্যাংকে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান লন্ডনের একজন স্থানীয় লেখক বলেছেন, “আমি বারবার ফাসিজম আর ফ্যাসিস্টকে পছন্দ করি না। কারণ এরাও তো আমাদের পরিবারের সদস্য, সদস্য সদস্য৷ আমিও ব্যক্তিগতভাবে পনেরো বিগতভাবে কথায় কথায় সরকারকে গতের কথার পছন্দের শক্তি, ক্ষমতায়ন, রাজাকারকে বলেছি যেমনটা আমি চাই, এখনও বারবার ফ্যাসিজম আর ফ্যাস্ট না বলেছি। পছন্দ করি না না, পতিত শেখের মতন মানুষটা আমলে গুম-গণ-গণথায়, মানুষের ওপর অত্যাচার-অ্যাতন দেশের অর্থলোপাট ও দুর্নীতিবাজদের বিচার না। অবশ্যই চাই এবং কঠোরভাবে চাই। শুধু পতিত শেখ হত্যা নয় দেশ স্বাধীন থেকে যারা পর্যন্তই গুম-খুন-গণহত্যা এবং অর্থলোপাট ও দুর্নীতি করেছে তাদের বিচার চাই।

অনুপাতিক পদ্ধতি নির্বাচন করতে হলে বড় দাগে স্বয়ং সরকার পথ প্রতিরোধ করতে হবে এবং সুশাসন নিশ্চিত করবে বড় ভূমিকা পালন করবে। সংসদে একচ্ছত্রভাবে আধিপত্য কমবে। সর্বসম্মতি ছাড়া সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব হবে না। সংসদে শক্তিশালী দল থাকবে। সংখ্যাটি ভোটের উল্লেখ এবং প্রদত্ত ভোটের হারের ভোটের আসন বণ্টন হবে। ন্যূনতম পাওয়ার ভোটও সব প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকার সুযোগ ঘটবে। ভোটারদের মতের মতন প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে হবে, জনতারও প্রতিফল ঘটবে। একক সরকার গঠন করা হবে। কালো রং ব্যবহার, নির্বাচনী কার্চুপি ও দুর্নীতি কমবে। তৃণমূলের পক্ষে জনসম্পৃক্ত ছোটো বড়ো দলের দলগুলোও ৩০০ বিপরীতে শক্তি দিতে পারে।

আবার এমন হতে পারে-জোট সরকার বড় বড় ক্ষমতাদিহি বা জবাবে সরকার পক্ষের ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ ও আদর্শিক অবস্থানের ওপর চাপ দিয়ে বড় দলগুলো পছন্দদিহি এ যেতে পারে। ভিন্ন ভিন্ন মত ও আদর্শগত কারণে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও গৃহীত গ্রহণ করা দীর্ঘসূত্রতা হতে পারে। অসৎ পোর্টাল হতে পারে অনেক দলে দলে অংশ নিতে পারে। স্বতন্ত্ররা বঞ্চিত হতে পারে। ভোটারদের বড় অংশের বর্ণনা পদ্ধতিতে বিভ্রান্ত, প্রতারিত ও গ্রহণ হতে পারে। দুর্নীতির মাধ্যমে ভোটের অনুপাতে আসা সম্ভব হতে পারে। নির্বাচন ও গণনা সময়সাপেক্ষ হতে পারে। রাষ্ট্রকে বছরের পর বছর ভুলত্রুটি সংশোধনের মধ্য দিয়ে যেতে পারে, ফল নির্বাচন পদ্ধতি পদ্ধতিও হতে পারে।

বিকল্প পদ্ধতির পরিবর্তে আনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিতে আমার কোনো দ্বিমত নেই। সামনের ত্রয়োদশ এই পদ্ধতিটি দিয়ে যেতে হবে তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা আছে। দেশের সুধীমাজ ও জনসাধারণ এবং ছোটো মাঝারি দলগুলোকে শঙ্কামুক্ত আনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি একমত হবে। কিন্তু বড় দলগুলো বিশেষ করে দল ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আনুপাতিক নির্বাচন করতে এক মতন পদ্ধতি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সন্দেহের কারণ ব্যাখ্যা করতে চাই না, লেখাটা অনেক বড় হবে। অন্য কোন এক লেখার কারণ ব্যাখ্যা করব।

পরিস্থিতি নির্বাচন ব্যবস্থার সমস্যাগুলো আমরা আলোচনা করছি। আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার সুবিধা-অসুবিধা আমরা জানি। এই পদ্ধতিতে নির্বাচনে পরিবর্তন আনতে হবে। গঠনমূলকভাবে গঠনমূলকভাবে দলকে পরিবর্তন করতে হবে। যার মধ্যে অনেক, একই ব্যক্তি দুই দলের বেশি সরকার প্রধান হতে পারবে না। মহাসচিব পদে পেতে পারে না। একই ব‍্যক্তি তিন সর্বোচ্চ সংসদ সদস‍্য হতে পারবে না। অবসর বরখাস্ত কোনো ব্যক্তিত্ব-প্রধান সংসদ সদস্য হতে পারবেন না। সংসদ সদস‍দের শিক্ষাগত যোগ‍্যতা স্নাতক হতে হবে। ভোট সংসদ সদস‍্য গণ শুধুমাত্র আইন করবে, উন্নয়ন কাজ স্থানীয় সরকার করবে। নির্বাচন কমিশন তফসিল পর পর দলগুলো নির্দিষ্ট জিনিষ অংশের মধ্যে ৩০০ পার্টিকে মনোনীত করে জমাপত্র জমা দেয়। সংখ্যা জয়ী দলের পর মনোনীতদের মধ্যবর্তী সদস্য হতে হবে, কোনো অবস্থাতে পরিবর্তন করা যাবে না। আমার সম্পর্কের মধ্য থেকে আত্মীয়দের মধ্য থেকে একজনের বেশি রক্ত ​​দেওয়া যাবে না।

রাজনৈতিক আনুপাতিক পদ্ধতি কি নির্বাচন করা সম্ভব? অবশ্যই সম্ভব। পার্শ্ববর্তী অন্তবর্তী সরকারকে পাসের সাথে বিজ্ঞপ্তির টেবিলে বসতে হবে। আলোচনা দল এই নির্বাচন পদ্ধতির সাথে এক মত হবে, এমনটাও নয়। তবে, সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজৈ দল আনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিতে এক মত হলে জনমতিক য-না ভোট দিতে হবে। গণভোটের আগে অবশ্যই আনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির সুবিধা-অসুবি জনগণের বর্ণনা ধরতে সুবিধা প্রচার-প্রচার, সভা-সেমিনের অনুশীলন করতে হবে। আনুতিক নির্বাচন পদ্ধতি অন্তবর্তী দৃশ্য একার ব্যবহার করা সম্ভব নয়। দেশের জনসাধারণকে আগে ইতিবাচক হতে হবে, প্রত্যেকের অন্তরে জাগ্রত করতে হবে দেশের কিছু ভালো, তা জনসাধারণের জন্য ভালো। দেশকে মেডের মতোই পাল্টাতে হবে দেশের ভালো রাজনীতি, তবেই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং আউটিক পদ্ধতি নির্বাচন করতে হবে।

 

লেখক: মোহাম্মদ নবী আলম, সাংবাদিক ও লেখক।


[প্রিয় পাঠক, পাবলিক রিঅ্যাকশনের প্রায় প্রতিটি বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। আপনার অনুভূতির কথা আমাদের লিখে পাঠান। ছবিসহ মেইল করুন opinion2mail@gmail.com এই ঠিকানায়। যে কোনো খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। পাঠকের লেখা আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।]