চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ভোটের মাঠে রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। সেখানে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালা নৌকার প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলেছেন। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। স্বতন্ত্র এ প্রার্থী গত ৯ দিনে ১৪ বার হামলা শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এসব হামলার ঘটনায় ভোটাররা ভীত হয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ করছেন স্বতন্ত্র এ প্রার্থীর সমর্থকরা। সাধারণ ভোটাররা বলছেন, এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত নিরপেক্ষ ভোটদানের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। নৌকা প্রতীকের কর্মীদের এসব অত্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। তিনি প্রশাসনের কাছে এসব অন্যায়ের প্রতিকার দাবি করেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর ডাউকির বিভিন্ন এলাকায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা থেকে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। পরদিন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা এলাকার কবরী রোডে ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। ওই ঘটনায় সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। একই দিন (১৯ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গা সদরে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা নারী কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শোভাযাত্রায় নৌকা সমর্থিতরা উত্ত্যক্ত করে। ২০ ডিসেম্বর বেলগাছিতে শাহাদাত মেম্বারকে হুমকি ও বাড়ি ঘেরাও করে। পরে আলমডাঙ্গা থানা থেকে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
গত ২১ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মুন্সিপাড়া মোড়ে ঈগল প্রতীকের প্রচার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ বিষয়ে সদর থানায় অবহিত করা হয়েছে। পরদিন খাদিমপুর প্রাইমারি স্কুলের সামনে ঈগল প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হলে বিষয়টি নিকটস্থ ফাঁড়িকে অবহিত করা হয়। একইদিন (২২ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গা একাডেমি মোড়ে ঈগল প্রতীকের কর্মীকে কুপিয়ে জখম করে। এ বিষয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ২৩ ডিসেম্বর শঙ্করচন্দ্র এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা দিলে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। একইদিন নতুন ভান্ডারদহে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার ওপর হামলা করে নৌকার সমর্থকরা। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ২৪ ডিসেম্বর সাতগাছি মাজেরপাড়া ৭ নং ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাইয়ের ওপর হামলা চালালে চুয়াডাঙ্গা থানা থেকে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার ও দুই জনকে আটক করে। একইদিন নগর বোয়ালিয়ায় পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা ও দুটি আলম সাধু ভাঙচুর করার পাশাপাশি ঈগল সমর্থকের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের হয়।
২৫ ডিসেম্বর মাথালডাঙ্গা ইউনিয়নের মাথালডাঙ্গা গ্রামে ঈগল প্রতীকের পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হলে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ২৭ ডিসেম্বর শঙ্করচন্দ্রের মাঝেরপাড়ায় ঈগল প্রতীকের প্রচার গাড়ি ভাঙচুর এবং চালককে হত্যাচেষ্টায় আক্রমণ করা হয়। পরে সদর থানায় মামলা করা হয়। একইদিন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে ঈগল প্রতীকের কর্মীকে প্রাণহানির চেষ্টায় হামলা করা হয়। পরে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।