৭০ হাজার শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি যে কোনো সময়ে

::
প্রকাশ: ২ years ago

পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। শিক্ষক নিয়োগের এই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুমতিপত্র বুধবার (২১ ডিসেম্বর) প্রকাশ হয়েছে। ফলে ৭০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি যেকোনো সময় প্রকাশিত হবে।

এর মধ্যে স্কুল-কলেজে ৩২ হাজার ৫০০, মাদ্রাসায় ৩৬ হাজার ৫৬২ এবং কারিগরিতে এক হাজার ১০২টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

এর আগে দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় একসঙ্গে এত বেশি শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন। এতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রোক্ত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে এনটিআরসিএ থেকে পাঠানো শূন্য পদগুলোতে নিয়োগ সুপারিশের জন্য ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি নির্দেশক্রমে নিম্নলিখিত শর্তে প্রকাশের সম্মতি দেওয়া হলো।

(ক) নিয়োগ সুপারিশের বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত যে সব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের বিপরীতে কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী নেই সে সব পদে পরবর্তী সময়ে/ভবিষ্যতে নিয়োগ সুপারিশ দেওয়া যাবে না মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় শর্ত আরোপ করতে হবে;

(খ) বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক যাচাইকৃত বিষয়ভিত্তিক শূন্য পদসমূহের বিপরীতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগামী ২ (দুই) সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করতে হবে। একই সঙ্গে ব্যানবেইস এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডসমূহ থেকেও এ সব তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই করতে হবে।

গত বছরের ৩০ মার্চ এনটিআরসিএ ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদের জন্য তৃতীয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। সে অনুযায়ী এবার চতুর্থ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) আওতাভুক্ত বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শূন্য পদের তালিকা যাচাই-বাছাই আগেই শেষ হয়েছে। এখন যেকোনো সময় এই শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে এনটিআরসিএ। এটি হবে চতুর্থ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা গণবিজ্ঞপ্তি। এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিটি এতোদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির অপেক্ষায় ছিল।