ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর:
ঐতিহ্য ও গৌরবের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রমের ৩২ বছর পূর্ণ করেছে, পদার্পণ করেছে ৩৩ বছরে। ১৯৯০ সালের জুলাই মাসে জাতীয় সংসদে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯০’ পাস হয়, যা গেজেট আকারে প্রকাশ হয় ওই বছরের ৩১ জুলাই। এরপর ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ডিসিপ্লিনে ৮০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু হয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের।
সেবছর ২৫ নভেম্বর শিক্ষা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এর পর থেকে প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর দিনটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে।
গতকাল শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যাপন করা হয়।
উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল সোয়া ১০টায় এ উপলক্ষে প্রথমে কালজয়ী মুজিব ও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এরপর হাদী চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
তিনি বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার সূচনা করেন। শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার প্রাক্কালে এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে শুরু করে এ বিশ্ববিদ্যালয় বিকাশে নানাভাবে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
তিনি আরও বলেন, খুলনার রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তিসহ সকল মহলের শুভেচ্ছা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশ-বিদেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সুনাম ও ভাবমূর্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
দেশে বধ্যভূমির উপর স্থাপিত একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১৯৯১ সালে শিক্ষাকার্যক্রমের শুরুতে প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এই ক্যাম্পাসকে ছাত্র রাজনীতি মুক্ত রাখার যে অঙ্গীকার হয়েছিল তা গত ৩২ বছর ধরে পালিত হচ্ছে। এটা অনন্য নজির।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মান বিশ্বমানে পৌঁছানো, আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান তৈরি এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
এর মধ্যে গবেষণায় সবিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তিনি আজকের এই উৎসবমুখর পরিবেশে উপস্থিত সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং ভবিষ্যতেও সহযোগিতা কামনা করেন।
শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, ডিন, রেজিস্ট্রার, ডিসিপ্লিন প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।
পরে সেখানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে গ্রিন ক্যাম্পাসে রূপান্তরে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
এ ছাড়া দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিগত বছরের কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থী ও সংগঠনগুলোকে সম্মাননা প্রদান, বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।