১৪ বছর ধরে অনৈতিক সম্পর্ক সেই দাদি-নাতির

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১ সপ্তাহ আগে
গ্রেপ্তারকৃত শাহের বানু ওরফে শাহনাজ ও মঞ্জুরুল ইসলাম।

এক প্রেমিককে দিয়ে আরেক প্রেমিককে খুন করার অভিযোগ ওঠা শাহনাজের সাথে সেই নাতির ১৪ বছর ধরে অনৈতিক সম্পর্ক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে নগর ডিবি অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এর আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নগরীর হাজীরহাট রনচন্ডী এলাকার তমিজ উদ্দিনের স্ত্রী শাহের বানু ওরফে শাহনাজ (৩০) ও একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬)।

আবু মারুফ হোসেন জানান, ২০০৮ সালে শাহনাজের সঙ্গে রনচন্ডি এলাকার তমিজ উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয়। স্বামী বয়স্ক হওয়ায় শাহনাজ তার শারীরিক চাহিদা পূরণে ২০১০ সালে মঞ্জুরুলের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

আরও পড়ুন: দাদির সঙ্গে পরকীয়া, নাতির হাতে খুন হন অপর প্রেমিক সাদ্দাম

তিনি বলেন, শাহনাজ একই সময়ে আরেক প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে একই সম্পর্কে জড়ান। কিছুদিন পর সাদ্দামকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে বিষয়টি শাহনাজ মঞ্জুরুলকে জানান এবং যে কোনো মূল্যে তাকে তাদের সম্পর্কের মাঝ থেকে সরিয়ে দিতে বলেন।

উপকমিশনার বলেন, শাহনাজের পরিকল্পনায় গত ২৬ জুন রাত ২টার দিকে শাহনাজের বাড়ির উঠানে সাদ্দাম হোসেনকে দেখতে পায় মঞ্জুরুল। বাড়ির লোকদের কাছে ধরা পড়ার ভয়ে তারা দুজন (সাদ্দাম ও মঞ্জুরুল) সেখান থেকে বেরিয়ে মাঠের দিকে যেতে থাকে। সাদ্দাম পেছন থেকে হাঁসুয়া নিয়ে মঞ্জুরুলকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে সাদ্দাম কাঁদায় পা পিছলে পড়ে যায়। সুযোগ বুঝে সঙ্গে থাকা দা দিয়ে সাদ্দামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে মঞ্জুরুল। এ ঘটনাটি মঞ্জুরুল পরে শাহনাজকে অবগত করে।

আবু মারুফ বলেন, শাহনাজের স্বামীর বয়স প্রায় ৭৫ বছর এবং তার স্বামী ছেলেকে নিয়ে আলাদা ঘরে থাকত। একাই একটি ঘরে থাকায় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছিল শাহনাজ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

হাজিরহাট থানার ওসি রজব আলী জানান, বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে অটোচালক সাদ্দাম হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি রণচন্ডি এলাকার তহির উদ্দিনের ছেলে। আমরা যখন লাশ উদ্ধার করি তখন ক্লুলুলেস ছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের আটক করে জিজ্ঞেসাবাদ করলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। এ ঘটনায় সাদ্দামের মা ইসমত আরা বেগম বাদী একটি হত্যা মামলা করেন। আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।