পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বিএনপির সমাবেশ ও পাল্টা সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপি একাধিক সমাবেশ করার পর আওয়ামী লীগও ঢাকায় সমাবেশ করেছে। বিএনপির বড় আন্দোলনের ঘোষণা ছিল ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে। আগামী ১০ ডিসেম্বর এটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এবার, তার ঠিক আগের দিন, ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
জনমনে প্রশ্ন জাগছে- পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক সমাবেশ থেকে দলগুলো কী অর্জন করতে চায়? ৯ এবং ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে দল দুটোর পরিকল্পনাই বা কী?
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ জানিয়েছেন, আগামী ৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা। এদিন বিকেল ৪টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণে স্টেডিয়ামের ২নং গেইটের সামনে এ সমাবেশ করবে তারা। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এদিকে, ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে লিখিতভাবে দলটির নেতারা অনুমতিও চেয়েছেন। তবে পুলিশ বিএনপিকে এখনো অনুমতি দেয়নি। ‘ঝুঁকি’ যাচাই-বাছাই শেষে বিএনপিকে অনুমতি দেওয়া হবে কিনা, তা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির কর্মকর্তারা।
যদিও, নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ হবে বলে ঘোষণা দেন।