হুমায়রা হিমুর গলায় ফাঁস দেয়ার নেপথ্য জানালেন প্রেমিক জিয়া

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যু ঘিরে বিনোদনপাড়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম- সবখানেই আলোচনা চলছে। হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় তার প্রেমিক মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি ওরফে উরফি জিয়াকে গ্রেপ্তারের পর হিমুর মৃত্যুর নেপথ্যের কারণ বেরিয়ে এসেছে।

হিমুর আত্মহত্যার পুরো ঘটনাটিই ঘটেছে উরফি জিয়ার সামনে। তিনি খাটে বসে সেই দৃশ্য দেখেছেন।

হিমু গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে যাওয়ার পর পাশের ঘরের মিহিরকে ডেকে এনে দড়ি কেটে তাকে নামিয়ে এনে হাসপাতালে নেন। ততক্ষণে হিমু মারা গেছেন।

হিমুর আত্মহত্যার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জিয়া দাবি করেছেন, ঘটনার দিন বিকালে হিমুর উত্তরার বাসায় যান তিনি। পরে অনলাইন জুয়ার বিষয় নিয়ে হিমু ও তার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় হিমু বাসায় ভাঙচুর চালান। একপর্যায়ে রুমের বাইরে থেকে একটি মই এনে সিলিংফ্যান লাগানোর লোহার সঙ্গে পূর্ব থেকে বেঁধে রাখা প্লাস্টিকের রশিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

আরও পড়ুন: অভিনেত্রী হিমুর আত্মহত্যা না হত্যা? কী বলছে র‍্যাব…

জিয়ার দাবি, হিমু-এর আগেও ৩-৪ বার আত্মহত্যা করবেন বলে তাকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরে আর আত্মহত্যা করেননি। এবারও বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। তবে সত্যি সত্যিই হিমু গলায় ফাঁস দিলে তিনি হিমুকে নামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এ সময় তিনি পাশের রুমে থাকা হিমুর মেকআপ আর্টিস্ট মিহিরকে ডেকে আনেন। পরে মিহির রান্নাঘর থেকে একটি বঁটি এনে রশি কেটে তাকে নিচে নামান। এর পর বাসার দারোয়ান ও মিহিরের সহায়তায় হিমুকে বাসা থেকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হিমুকে মৃত ঘোষণার পর অবস্থা বেগতিক দেখে রাফি নিহতের গাড়ি এবং দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে দ্রুত বংশাল এলাকায় পালিয়ে যান। র‌্যাব-১ তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

জিয়াউদ্দিন একজন টেক্সটাইল কেমিক্যাল ব্যবসায়ী। তিনি ঢাকার সুত্রাপুর এলাকার মোহাম্মদ ইকবালের ছেলে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিয়া আরও জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে হোমায়রা হিমুর খালাতো বোনকে জিয়া বিয়ে করেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে পারিবারিক সমস্যাজনিত কারণে তাদের বিচ্ছেদ হয়। পারিবারিক আত্মীয়ের সম্পর্কের সুবাদে তার সঙ্গে হিমুর পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। জিয়া অন্যত্র বিয়ে করলেও হিমুর সঙ্গে তিনি বিভিন্নভাবে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন।