বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ শীর্ষ কয়েকজন নেতার ফেসবুক আইডি একাধিক দিন ধরে অজ্ঞাত কারণে অদৃশ্য হয়ে গেছে।
এর পাশাপাশি, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ফেসবুক আইডিও রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।
বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে এই বিষয়টি জানানো হয়।
একাধিক সূত্র জানায়, ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ নামে একটি হ্যাকার গ্রুপ সাইবার হামলার জন্য নিজেদের দায় স্বীকার করেছে, তবে এর সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
আইডি উধাও হওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন— চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত রাফী, অনলাইন একটিভিস্ট সাইদ আব্দুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েমসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতা।
এদিকে, তথ্যপ্রযুক্তি নীতি উপদেষ্টা ফাইজ তাইয়্যেব আহমেদ রাত ৯টার দিকে তার ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন, যেখানে তিনি উধাও হওয়া আইডিগুলোর লিংক চেয়ে একটি আহ্বান জানান। তার পোস্টের নিচে শতাধিক মন্তব্যে গণঅভুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন ফেসবুক আইডি এবং পেজ হ্যাক হওয়ার দাবি করা হয়।
তবে, কিছু গুঞ্জন শোনা গেছে যে, এই হামলার আশঙ্কায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা তাদের আইডি স্বেচ্ছায় ডিঅ্যাক্টিভেট (অস্থায়ীভাবে বন্ধ) করেছেন। তবে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ নিশ্চিত করেনি।
একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমন্বয়ক জানান, আইডি ডিজেবল বা নষ্ট হয়নি, কিছু সমস্যা হচ্ছিল, তাই কিছু নেতারা নিজেদের আইডি ডিঅ্যাক্টিভেট করে রেখেছেন।
অন্যদিকে, ছাত্রনেতা সাইদ আব্দুল্লাহ জানান, গতকাল বিকেলে তিনি একটি বার্তা পেয়েছিলেন যে তার আইডি সাসপেন্ড করার চেষ্টা চলছে। এরপর সিকিউরিটি সেটিংস নিশ্চিত করেও তিনি নিরাপত্তা বজায় রেখেছিলেন। তবে কিছু সময় পরেই তার আইডি সাসপেন্ড হয়ে যায়। সাইদ আব্দুল্লাহ এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগের সাইবার টিমকে দায়ী করেন, দাবি করে বলেন, আমাদের পেজগুলো থেকে আন্দোলনে অংশ নেওয়া নেতাদের টার্গেট করে এই হামলা করা হয়েছে।