স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চাই স্মার্ট সিটিজেন

:: জাহিদ ফারুক
প্রকাশ: ২ years ago

ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ‘। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন। এগুলো হলো স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি। সরকার বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ‘ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়,যেখানে প্রতিটি নাগরিকই হবে স্মার্ট। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার ধাপে ধাপে দেশের মানুষকে তথ্য উপাত্ত দিয়ে যেমন সচেতন করছে ঠিক তেমনি ভাবে বিভিন্ন সরকারি সেবাকে ডিজিটাল সেবায় রূপান্তর করে তা জনসাধারণেরকে ব্যবহারে উদ্ভুদ্ধ করার মাধ্যমে তাদেরকে অভ্যস্হ করে তুলছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া এবং ভিশন -২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করে। এ সময় সরকার ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা,এমডিজি এবং প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ২০১৪ সালে তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর দেশের সকল মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্তি,বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়কে অগ্রাধিকার প্রদান করে। একই সাথে জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছানো,নারীর ক্ষমতায়ন বাস্তবায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো, পরিবেশ সুরক্ষা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোট ১০ টি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির সামনে চারটি মাইল ফলক দিয়েছেন। এর প্রথমটি হলো ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প যা ইতিমধ্যে অনেকাংশে অর্জিত হয়েছে, দ্বিতীয়টি ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, তৃতীয়টি ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং চতুর্থটি হচ্ছে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়ন।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা দারিদ্র্য মুক্ত একটি উন্নত বাংলাদেশ। নাগরিকদের মাথাপিছু আয় হবে ১২ হাজার ৫ শত মার্কিন ডলারেরও বেশি। আর এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আগামী দুই দশকে কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য, শিক্ষা ও স্বাস্হ্য,পরিবহন ও যোগাযোগ, ব্যবসায়িক চর্চা এবং কর্মক্ষমতা অর্জনের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসবে। এই ধারাবাহিক পরিবর্তনের সুফল সমাজের সকল স্তরের মানুষ পাবে।আগামী দুই দশকে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৯.০২ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির এই পথ অনুসরণ করে বাংলাদেশ ২০৩১ সালে হবে উচ্চ- মধ্যম আয়ের দেশ। ২০৪১ সালে বাংলাদেশের সম্ভব্য জনসংখ্যা হবে ২১৩ মিলিয়ন। সবচেয়ে দারিদ্র্য মানুষ যাদের দৈনিক আয় হবে ৩.২ ডলার। আপাতদৃষ্টিতে এগুলোকে অসম্ভব মনে হতে পারে। কিন্তু এই অসম্ভব কাজটিকে সম্ভব করার জন্য সরকার একটি রোড় ম্যাপ ঘোষণা করেছে। রপ্তানিমুখী শিল্পায়ন, কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, শহরের সকল আধুনিক সুযোগ সুবিধা গ্রামে পৌঁছনো,দক্ষ জ্বালানি ও অবকাঠামো, দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি ইত্যাদি কৌশলগত কাজ ধাপে ধাপে পরিকল্পনা মাফিক বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সুশাসনের চারটি স্তম্ভ, গণতন্ত্রীকরণ, বিকেন্দ্রীকরণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির রূপকল্প ২০৪১ অর্জনের প্রধান এজেন্ডা হবে। ভিশন -২০৪১ বর্তমান থেকে দুই দশকেরও কম দূরে। আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি কিন্তু আমরা এখনও আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে অনেক দূরে। আমাদের সেখানে সফলভাবে পৌঁছানোর আগে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। এই চলার পথে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারি সহজিকরণ থেকে শুরু করে, ডিজিটাল অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা, ডিজিটাল অনুশীলনকে উৎসাহিত করা এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের গ্রমীণ জনগোষ্ঠীকে প্রযুক্তির আলোর আওতায় আনার মাধ্যমে তাদের জীবনকে সহজ ও সাচ্ছন্দ্যময় করতে a2i প্রোগ্রামটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে। এ কাজটি সহজ ছিলো না। বছরের পর বছর এবং বহু দশক ধরে চলা প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতিগুলোর জায়গায় নতুন পদ্ধতিগুলো জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে নানাধরণের সচেতনতা মূলক প্রচার করতে হয়েছে। জনগণকে পুরাতন অভ্যাসগুলো পরিত্যাগ করার জন্য সরকার নানাভাবে তথ্য উপাত্ত দিয়ে তাদের সুবিধা -অসুবিধাগুলো তুলে ধরে প্রশিক্ষিত করার মাধ্যমে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে জনগণের মাইন্ড সেট পরিবর্তন ছিলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে প্রথম প্রয়োজন স্মার্ট সিটিজেন। স্মার্ট সিটিজেনকে প্রথমেই সরকারি বেসরকারি সকল ডিজিটাল সেবায় অভ্যস্ত হতে হবে। চলমান প্রযুক্তি এবং ভবিষ্যতে যে সব প্রযুক্তি আমাদের সামনে আসবে,যদিও সেগুলো সম্পর্কে আমাদের তেমন ধারণা নেই সেগুলোও সাদরে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদের এই পৃথিবীর সবকিছুই দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ তথ্য উপাত্তে সবসময় আপগ্রেড থাকতে হবে। নতুবা পিছিয়ে পড়তে হবে। আমাদের অবশ্যই সমৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না সবসময় নতুন প্রযুক্তির সাথে নতুন চ্যলেঞ্জও আসে। এইসব চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে নাগরিকদের। এককথায় বলতে গেলে স্মার্ট সিটিজেন অর্থ হলো আইসিটি সক্ষম সিটিজেন, যারা উন্নত মানব সম্পদ। সরকার স্মার্ট সিটিজেন তৈরির লক্ষ্যে দেশে শতভাগ দ্রুতগতির মানসম্মত ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে ‘ ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে ‘- তে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। সরকার দক্ষ ও ডিজিটাল কর্মী বাহিনী এবং প্রযুক্তি সমর্থিত ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতি বছর পাঁচ লাখেরও বেশি স্নাতক তৈরি হচ্ছে যার মধ্যে পঁচাত্তর হাজারেরও বেশি তথ্য প্রযুক্তি সক্ষম পেশাদার হিসেবে প্রশিক্ষিত।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট, ভার্চুয়াল বাস্তবতা, উদ্দীপিত বাস্তবতা, রোবোটিকস এন্ড বিগ ডাটা সমন্বিত ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে কাজ করছে। শিল্পাঞ্চলে ফাইভ- জি সেবা প্রদান করার পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করছে সরকার। ২০২৪ এর মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্হাপন করতে যাচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় সাবমেরিনের ক্যাবলের সুবিধা দেশবাসী পাচ্ছে। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত 3.4 K GBPS ব্যান্ডউইথ ক্ষমতা অর্জন করছে। এ বছরের জুন – জুলাই মাস নাগাদ ব্যান্ডউইথের ক্ষমতা 7.2K GBPS এ উন্নীত করার চেষ্টা করছে সরকার। তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্হাপন করা হলে এটি 13.2 GBPS এ উন্নীত হবে। সরকার ইতিমধ্যে সৌদি আরব, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া ও ভারতকে ব্যান্ডউইথ লিজ দেওয়ার মাধ্যমে ৪.৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে।’ স্মার্ট বাংলাদেশ ‘ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য বহুমুখী কার্যক্ষমতা সম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ স্হাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ৯ লাখ ৫৬ হাজার ২৯৮ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্হাপন করা হয়েছে।যা জনগণ ও সরকারি অফিসগুলোতে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সরবরাহ করছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ১০ গিগাবাইট ক্ষমতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

আগামীর জন্য ডিজিটালি দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে আটটি বিভাগে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একশতটিরও বেশি শেখ রাসেল স্কুল অভ ফিউচার এবং দুই হাজার পাঁচশত এর বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্হাপন করেছে। চাহিদাভিত্তিক ও বাজারমুখী দক্ষ তরুণ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে কমবেশি ৩ মিলিয়ন তরুণ, যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫, তাদের কাছে ডিজিটাল লার্নিং কোর্স কনটেন্ট পৌঁছে দিয়েছে। এখানে উল্লেখ সরকার ২০২৪ সালের মধ্যে ১৫ মিলিয়ন দক্ষ তরুণ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ শুরু করেছে। একটি টেকসই ডিজিটাল লার্নিং সিস্টেম তৈরির মাধ্যমে শিল্পখাত ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে কার্যকর সংযোগ স্হাপনের জন্য ২০২৪ সালের মধ্যে অর্ধশতাধিক ডিজিটাল লার্নিং কোর্স কনটেন্ট প্রস্তুতের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে কাজ শুরু করা হয়েছে । আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এসব দক্ষ জনবল তৈরি হয়ে জব মার্কেটে প্রবেশ করবে। এর মাধ্যমে দেশের শ্রম বাজারের গুনগত পরিবর্তন ঘটবে। এসব দক্ষ জনশক্তি খুব সহজেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হবে।

উচ্চ অর্থনৈতিক ঘনত্বের কারণে শহরাঞ্চলমূখী মানুষের শ্রোতকে ঠেকানোর জন্য শহরের সকল আধুনিক সুযোগ সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ‘ আমার গ্রাম আমার শহর’ নীতি গ্রহণ করেছে। উন্নত দেশগুলোর মতো ২০৪১ সালে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ শহরে বসবাস করবে। সরকার ঢাকা কেন্দ্রিক নগরায়ণের পরিবর্তে অনেক নগরকেন্দ্রের সুষম উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে একটি অবিশ্বাস্য পদ্ধতিগত মৌলিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রচলিত ব্যবস্হার ডিজিটাল রুপান্তরের পথ ধরেই এই পরিবর্তন ঘটছে।

আমরা এখন ২০২০ থেকে ২০৩০ এর দশকে দিকে এগিয়ে চলছি। এই দশকের প্রথম দুই বছরে করোনা অতিমারি মোকাবিলা করে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে যখন দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছি ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত ভাবে আমাদের সামনে এলো ইউক্রেন -রাশিয়া যুদ্ধ। এই যুদ্ধ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের অগ্রসরমান অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তবে আসার কথা হলো পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো আছে। এসব কিছু মোকাবিলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। দক্ষ নেতৃত্বে এক দশকের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল জাতিতে পরিণত হয়েছে,যা বিশ্ববাসীর কাছে এক বিশ্বয় এবং রোল মডেল। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী দুই দশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এটা কোন দূরবর্তী স্বপ্ন নয়, এটাই আমাদের লক্ষ্য। আর লক্ষ্য বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে, হচ্ছে, এবং হবে স্মার্ট সিটিজেন। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের স্মার্ট প্রজন্মের হাত ধরেই তৈরি হবে ২০৪১ এর ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ।

 

পিআইডি ফিচার।
০২.০২.২০২৩