আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর বলেছেন, স্বল্প খরচে উন্নত শিক্ষা বাংলাদেশে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করে যাচ্ছেন। শিক্ষার গুণগত পরিবর্তন আনার জন্য বর্তমান সরকার সবকিছু করছে।
১৪ অক্টোবর দুবাইয়ের ক্রাউন প্লাজায় প্যান এশিয়ানের আয়োজনে এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর। অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় উদ্বুদ্ধ করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘বাংলাদেশ এডুকেশন ফোরাম-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুরুতে আয়োজনের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেন প্যান এশিয়ানের পরিচালক সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশি ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে উচ্চশিক্ষার জন্য গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করাই আমাদের লক্ষ্য।
দুই দিনের এই আয়োজনে কয়েকটি প্যানেলে আলোচনা, তথ্য সেশন, উপস্থাপনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
স্টুডেন্ট ফোরাম আয়োজন সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৩ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন, যারা বাংলাদেশি দুটি স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। তারা এই আয়োজন থেকে বাংলাদেশ এবং আমিরাতের পড়ালেখা ও খরচের বিষয়ে কম্পেয়ার করার সুযোগ পাবে। শিক্ষার্থীরা যদি দেখে, বাংলাদেশে কম খরচে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সম্ভব- তাহলে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. কারমেন জিটা লামাগনা বলেন, আমার দেশ বাংলাদেশ না হলেও আমি এই দেশকে ভালোবাসি। প্রবাসী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বলব, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। বাংলাদেশেও উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত করে মেধা অনুযায়ী কর্মজীবন শুরু করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন, ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি আবু বকর হানিফ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. সবুর খান এবং ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পরিচালক আলী আজম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিক্ষাখাতের একটি, যেখানে ৩০ লাখের বেশি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে এবং ২ হাজার ৫০০টির বেশি কলেজ, বিশেষায়িত কলেজে ৪৬ লাখ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। বাংলাদেশ উচ্চমানের এবং সাশ্রয়ী মূল্যের শিক্ষাসেবা প্রদান করায় প্রতি বছর বাইরের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আমিরাতের শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশকে উচ্চশিক্ষার জন্য বাছাই করে নেবে বলে প্রত্যাশা করেন অনেকে।