পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট:
এক বছর আগেও স্থানীয় আরবীর অধীনে থেকে বা লুকিয়ে ব্যবসা করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে সৌদি আরবে বিনিয়োগ করে প্রতিনিয়ত সাফল্যের মুখ দেখছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ধীরে ধীরে নিজেদের নামে নিবন্ধন করে ব্যবসা শুরু করছেন তারা।
একদিন আগেও জেদ্দায় বাওয়াদি স্টার মার্কেটের পাশে চালু হলো ‘সাইমা রেস্টুরেন্ট’। বাংলাদেশি খাবারের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের খাবারের ব্যবস্থা আছে এ রেস্তোরাঁয়। রোববার লায়ন ইসমাইল মো. মুন্নার তত্ত্বাবধানে ও শাকিল চৌধুরীর পরিচালনায় রেস্তোরাঁর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন এর উদ্যোক্তা সাইদুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যবসায়ী মনির উদ্দিন, শরিফ, শহিদ, সোলাইমান বাবুলসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
এক বছর আগে বিদেশি নাগরিকদের বিনিয়োগের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে সৌদি সরকার। এ অনুমোদন পেয়ে বিনিয়োগ শুরু করেছেন সৌদি আরবে অবস্থানকারী বাংলাদেশিরাও। সৌদি আরবের জেদ্দায় প্রথম নারী উদ্যোক্তা প্রবাসী কবি ও লেখিকা আবেদা সুলতানার উদ্যোগে রয়েল রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু হয়।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা এতদিন সৌদি আরবে অন্যের নামে গোপনে ব্যবসা করতেন। সৌদি সরকার আইন পরিবর্তন করে বিদেশিদের বৈধভাবে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়ায় অনেকেই নিজের নামে ব্যবসা করার উদ্যোগ নিয়েছেন। যেসব প্রবাসী গোপনে ব্যবসা করতেন তাদেরকে বৈধভাবে ব্যবসার নিবন্ধন করার জন্য সুযোগ দিয়েছে সৌদি সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সৌদি আরব সরকার গত বছর দেশটিতে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকদেরকে সহজ শর্তে ব্যবসা করার সুযোগের ঘোষণা দেওয়া হয়। আগে যেসব প্রবাসী গোপনে ব্যবসা করতেন তাদেরকে নিজ নামে ব্যবসার নিবন্ধন করার জন্য সুযোগ দেওয়া হয়। প্রবাসীদের নিজ নামে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য এরইমধ্যে বাণিজ্যিক গোপনীয়তাবিরোধী আইন সংশোধন করেছে দেশটির সরকার।
সৌদি সরকারের প্রবর্তিত নতুন আইন অনুযায়ী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিবন্ধনের পর সরকারি আইনজীবীর মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করবে। কোনো ব্যবসায়িক লেনদেন ২০ মিলিয়ন বা ২ কোটি ডলারের বেশি হলে ৭৫ শতাংশ মালিকানা তার নামে রাখা হবে, বাকি ২৫ শতাংশ থাকবে সৌদি সরকারের মালিকানায়। এছাড়া, কোনো বিনিয়োগকারীর লেনদেন যদি দুই কোটির কম হয় সেই অনুপাতে তার মালিকানা নির্ধারণ করা হবে।