সৌদি আরবে এক প্রবাসীকে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তার বাবা। দালালের আত্মীয়ের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের চিতলীয়া এলাকার বাসিন্দা ওয়ারিছ খান জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে ছেলে খয়ের আহমেদ খানকে সৌদি আরব পাঠাতে চিতলীয়া বখশীটিলা জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন জসিম উদ্দিনের সঙ্গে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার লিখিত চুক্তি করেন।
চুক্তি অনুযায়ী জসিম উদ্দিনকে প্রথমে আড়াই লাখ টাকা পরে আরও ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
আরও ৮০ হাজার টাকা বিদেশে গিয়ে দুই মাসের বেতন পেয়ে পরিশোধের কথা ছিল।
এরপর জসিম উদ্দিনের ভাই সৌদিপ্রবাসী ফারুক উদ্দিনের কাছে ছেলেকে পাঠানো হয়।
বাবা অভিযোগ করেন, সেখানে যাওয়ার পর ছেলেকে কাজ না দিয়ে নির্যাতন করে আটকে রাখা হয়েছে। তিন দিন ধরে ছেলের মোবাইল ফোন বন্ধ। তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছেন না।
ওয়ারিছ খান বলেন, ‘আমার ছেলেটাকে কাজের ভিসায় সৌদি আরবে পাঠাইছিলাম। কোম্পানির ড্রাইভিং ভিসার চুক্তি করছিলাম। কিন্তু আমার ছেলেকে বিদেশে কাজ না দিয়ে, সেখানে আটকে রেখে নির্যাতন করছেন তারা।’
অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।
তার খোঁজে চিতলীয়া বখশীটিলা জামে মসজিদে যোগাযোগ করা হলে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘জসিম ঢাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গেছেন। ইমাম সাহেব জানালেন, তিনি সোমবার আসবেন। আমরাও তার ফোন বন্ধ পাচ্ছি।’
তবে জসিমের বড় ভাই সৌদিপ্রবাসী ফারুক উদ্দিন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার এখানে আসার পর খয়েরকে কাজে লাগিয়ে দেই। কিন্তু কাজ পছন্দ না হওয়ায় আমাকে গালমন্দ করে তিনি চলে যান। তিনি তার সহযোগীদের সঙ্গে ঝগড়া করে আহত হয়েছেন। পরে বিষয়টি পাকিস্তানের কফিল সমাধান করে দেন। তাকে আমি কখনও মারধর করিনি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নিয়াজ মোর্শেদ রাজু বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব।’