সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় মুসলিম বিশ্বে নিন্দার ঝড়

::
প্রকাশ: ২ years ago
সুইডেনে পরিকল্পিত কোরআন পোড়ানোর দাঙ্গায় কয়েক ডজন দৃষ্কৃতিকারী গ্রেপ্তার হয়েছে। ছবি: বিবিসি

পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
সুইডেনে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে এক উগ্র ডানপন্থীর কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে সারা বিশ্বে। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে। বাংলাদেশ, তুরস্ক, সৌদি আরব, জর্ডান, কুয়েত, পাকিস্তান গর্হিত এ কর্মকাণ্ডের নিন্দা প্রকাশ করেছে।

এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।

রোববার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে নিন্দা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২১ জানুয়ারি সুইডেনে ‘বাকস্বাধীনতার’ আড়ালে সারা বিশ্বের মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধের অবমাননার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। ইসলাম শান্তি ও সহিষ্ণুতার ধর্ম। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, যেকোনো পরিস্থিতিতে ধর্মের স্বাধীনতাকে সমুন্নত ও সম্মান করতে হবে। সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বার্থে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট সকলকে অযৌক্তিক উস্কানি থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে।

রাসমুস পালুদানের গর্হিত এ কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে নিন্দা জানিয়েছেন খোদ সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোবিয়াস বিলস্ট্রম। টুইটারে একটি পোস্ট করে তিনি বলেন, ইসলামবিদ্বেষ নিয়ে উসকানি ভয়াবহ। সুইডেনে মতপ্রকাশের সুদূরপ্রসারী স্বাধীনতা রয়েছে। তবে তার অর্থ এই নয় যে, আমি বা সুইডিশ সরকার এ মতামতকে সমর্থন করি।

তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আমরা আমাদের পবিত্র গ্রন্থের ওপর জঘন্য হামলায় তীব্র ভাষায় নিন্দা জানাই। মত প্রকাশের স্বাধীনতার আড়ালে এমন ইসলামবিরোধী কাজের অনুমতি দেওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি মুসলিমদের নিশানা এবং আমাদের পবিত্র মূল্যবোধের অবমাননা করে। এ ঘটনায় সুইডিশ মন্ত্রীর সফরও বাতিল করে আঙ্কারা।

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সৌদি আরব সংলাপ, সহনশীলতা ও সহাবস্থানের মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানায় এবং ঘৃণা ও চরমপন্থাকে প্রত্যাখ্যান করে।

ওই ঘটনার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি ঘৃণাত্মক বক্তব্য ও সহিংসতা পরিত্যাগ এবং ধর্মীয় প্রতীককে সম্মান জানানো ও ধর্মের অবমাননা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

টুইটে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় নিন্দা করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও। তিনি বলেন, সুইডেনে পবিত্র কোরআন অবমাননা জঘন্যতম কাজ। এর নিন্দা জানাতে কোনো শব্দই যথেষ্ট হয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিশ্বের দেড়শ কোটি মুসলিমের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য ব্যবহার করা যায় না। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।

সুইডেনের উগ্র ডানপন্থী রাজনৈতিক দল হার্ড লাইন। দলটির উগ্র নেতা রাসমুস পালুদান ঘটনাটি ঘটান। পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে কোরআন শরিফে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। ২০২২ সালের এপ্রিলে রমজান মাসে কোরআন পোড়ানোর ‘সফর’ ঘোষণা করেও তিনি বিতর্ক সৃষ্টি করেন। তার ওই কর্মসূচি ঘিরে সুইডেনে ব্যাপক দাঙ্গার সৃষ্টি হয়।