সদ্য সমাপ্ত সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে দুই শতাধিক প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নির্বাচনে ৩৫৯ জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারালেন ২০৩ প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র প্রার্থী ৫জন, সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ১৫২ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ৪৬ জন রয়েছেন।
জামানত বাজেয়াপ্তের হার ৫৬ দশমিক ৫৪ ভাগ। মেয়র পদে ৬২ দশমিক ৫০ ভাগ, সাধারণ ওয়ার্ডে, ৫৮ দশমিক ৮৮ ভাগ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫২ দশমিক ৮৭ ভাগ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ৩৫৯ জন প্রার্থীর প্রাপ্তভোট পর্যালোচনা করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
মেয়র পদে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন – ইসলামী আন্দোলনের মাহমুদুল হাসান, জাকের পার্টির জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র আব্দুল হানিফ কুটু, মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন রিমন ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
এদিকে ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৫টিতে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১৫২ প্রার্থীর। তারা হলেন – ১নং ওয়ার্ডে সলমান আহমদ চৌধুরী। ৩নং ওয়ার্ডে মিজানুর রহমান, বদরুল ইসলাম লস্কর। ৪নং ওয়ার্ডে আব্দুল করিম চৌধুরী কিম। ৫নং ওয়ার্ডে খালেদ আকবর চৌধুরী, কামাল মিয়া, নাজমুল হোসাইন, আমিনুর রহমান। ৬নং ওয়ার্ডে শাহিন মিয়া, সৈয়দ আতিকুর রব চৌধুরী, মাহমুদ আহমদ। ৮নং ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ দাস, মোহাম্মদ রানা আহমদ, মো. হাবিবুর রহমান আবির, সাব্বির খান, সুদীপ রঞ্জন দেব ও সুমন ইসলাম। ১০নং ওয়ার্ডে আফতাব, গোলাম কিবরিয়া মাসুক ও মো. মোস্তফা কামাল। ১১নং ওয়ার্ডে আব্দুল রহিম মতচ্ছির, মীর্জা এম, এস, হোসেন। ১৩নং ওয়ার্ডে বিশ্বজিৎ দাস ও মো. নুরুল ইসলাম। ১৪নং ওয়ার্ডে মাহবুবুর রহমান জনি ও মোস্তাফিজুর রহমান। ১৫নং ওয়ার্ডে মো. আবু তামিম ও মো. আব্দুল গাফফার। ১৬ নং ওয়ার্ডে জামাল আহমদ, তমাল রহমান, তামিম আহমদ খাঁন ও মোহাম্মদ ফয়জুল হাসান। ১৮নং ওয়ার্ডে মাহবুব খান মাসুম, মো. বেলাল আহমদ ও মো. শামছুর রহমান কামাল, ২০ নং ওয়ার্ডে বিহিতগুপ্ত চৌধুরী বাবলা ও শুভ্র চক্রবর্তী। ২২নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ আবু জাফর, মোহাম্মদ দিদার হোসেন, মো. ইব্রাহিম খান সাদেক, মো. বদরুল আজাদ রানা ও শোয়াইবুর রহমান শোয়াইব। ২৩নং ওয়ার্ডে মামুনুর রহমান মামুন, শেখ সোহেল আহমদ কবির। ২৪নং ওয়ার্ডে আব্দুস শহীদ লস্কর, মোহাম্মদ আবুল কাশেম খায়ের, মোহাম্মদ শাহজাহান, হাবিবুর রহমান। ২৫নং ওয়ার্ডে অ্যাডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ, মো. মোফাজ্জুল হোসেন ও মো. সাহাব উদ্দিন সিহাব। ২৬ নং ওয়ার্ডে মামুনুর রশিদ ও মো. শাহেদ আহমদ। ২৭নং ওয়ার্ডে সুজিত কুমার গোপ ও শাহীন আহমদ। ২৮নং ওয়ার্ডে আশিকুর রহমান আশিক, ইমতিয়াজ আহমদ জগলু, এস এম মিনহাজ মাহমুদ, শিব্বির আহমদ, ফখরুল ইসলাম, আব্বাছ আলী, এমদাদ হোসেন। ২৯নং ওয়ার্ডে লাহিনুর রহমান লাহিন, জাবেদ আহমদ জীবন, রেজাউল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন মুরাদ, রাজীব আহসান ও পংকি মিয়া। ৩০নং ওয়ার্ডে রাজু মিয়া, আতাউর রহমান, জামাল উদ্দিন, প্রমথ দাস, আব্দুল মান্নান, আজাদ মিয়া, শাহ ইকবাল হোসেন, মকসুদ আহমদ, আলী আছকর, আব্দুল গফফার, সেলিম আহমদ জাবেদ, ফজলুল করিম, জাকির হোসেন, নুরুল ইসলাম মাসুম, রাউল করিম সুমন, এনামুল হক, লয়লু মিয়া ও সানর মিয়া। ৩১নং ওয়ার্ডে রাজিব আহমদ, ইলিয়াস মিয়া, আব্দুল মুকিত ও শফিকুর রহমান। ৩২নং ওয়ার্ডে কাবুল আহমদ, আব্দুল হান্নান, সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, মোতাহার হোসেন, দুলাল আহমদ ও স্বপন আহমদ রুমন। ৩৩নং ওয়ার্ডে গৌছ উদ্দিন, সেলিম আহমদ, শামীম আহমদ পিন্টু, ইকবাল হোসেন শামীম, রমিজ উদ্দিন, হুমায়ুন কবির চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, বাহার উদ্দিন, আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, ইন্দ্রজিত বিশ্বাস, শাহাজাহান আহমদ খাদিম, আব্দুল আহাদ ও হিমেল আহমদ। ৩৪নং ওয়ার্ডে আমিনুর রহমান, সোলেমান আহমদ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, শামীম আহম্মদ, আবু বকর লিলু, পারভেজ আহমদ, সুহেল আহমদ, নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, আলী আক্তার চৌধুরী, কাজি মো. রুনু মিয়া মইন, জয়নাল আবেদীন জুয়েল, মো. রকিবুজ্জামান ও রমজান আলী। ৩৫নং ওয়ার্ডে সৈয়দ আহমদ আলী। ৩৬নং ওয়ার্ডে রাজা মিয়া, বদরুর রহমান বাবর ও তজমুল ইসলাম। ৩৭নং ওয়ার্ডে শেখ লোকমান মিয়া, শায়খুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম নজু, কবির আলম, আব্দুর রাজ্জাক ডালীম, আলী হোসেন, রফিকুল ইসলাম, বিপ্লব চক্রবর্তী, মোয়াজ বিন আজহার, পারভেজ আহমদ ও বিজিত লাল দাস। ৩৮নং ওয়ার্ডে গিয়াস উদ্দিন, কামরুল হাসান নুর, আল আমিন ও মো. জাকারিয়া। ৩৯নং ওয়ার্ডে রেজাউল রহমান মোস্তাক, শাহাব উদ্দীন লাল, আব্দুর রহমান খোরাসানী ও মাসুম আহমদ। ৪০নং ওয়ার্ডে রাজ কুমার পাল রাজু, হাজী আব্দুল শহীদ, এস এম জুলফিকার আলী, সামরান সাবের, কামাল আহমদ কাবুল ও তারেক আহমদ। ৪১নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ রাজ্জিক, নাজির আহমদ স্বপন, মনজুর আহমদ, রফিকুল ইসলাম রফু, জিয়াউর রহমান ও আক্তার হোসেন। ৪২নং ওয়ার্ডে আবুল কালাম মনছুর, মাওলানা আব্দুল হাফিজ খান, আলতাফুর রহমান, মনছুরুল আরিফিন শিকদার সুমন, সাইফুল আলম ও রিহাদ আহমদ।
সংরক্ষিত ওয়ার্ডের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রার্থীরা হচ্ছেন – ২ নং ওয়ার্ডে জোসনা আহমদ। ৩ নং ওয়ার্ডে রোবি বেগম, নেহারুন বেগম, মুসলিমা নাজনিন হাসান ও নাছরিন আহমদ নুপুর। ৪নং ওয়ার্ডে অ্যাডভোকেট জোহরা জেসমিন, তাহমিনা বেগম, রুবি বেগম, সালমা বেগম, সুনিয়া আক্তার সূচনা ও রুপিয়া খানম। ৭ নং ওয়ার্ডে মাহমুদা নাজিম রুবি। ৮ নং ওয়ার্ডে মিনা বেগম। ৯ নং ওয়ার্ডে সাদিয়া শারমিন সুমি, নাজমা বেগম ও শিউলি আক্তার। ১০নং ওয়ার্ডে তাহমিনা সুলতানা, রুমা আক্তার, মাহমুদা ইসলাম চৌধুরী, রুমা আক্তার রত্না ও হোছনে আরা বেগম। ১১নং ওয়ার্ডে পারবিন বেগম, মাজরানা তাহরীন খালিক, আমিনা বেগম, রুকসানা বেগম ও রাহেলা বেগম। ১২নং ওয়ার্ডে ছালেহা বেগম, আছমা আক্তার পারভীন, নাজমা আক্তার, রুমি আহমদ, ফাতেমা আক্তার পারুল, শিরিন আক্তার, সেলিনা আক্তার ও লিপি বেগম। ১৩নং ওয়ার্ডে খালেদা আক্তার শাপলা, জলি পুরকায়স্থ, ডলি বেগম, মাহমুদা আক্তার রীনা, নেখবুল বেগম, রেজিয়া বেগম, শিউলী পারভীন, শোভা আক্তার, রেসমা বেগম, ও শেখ তাসলিমা আলী হেনা। ১৪নং ওয়ার্ডে লিলি বেগম ও সাহেদা খাতুন রেজি।
সিলেট/ অমিতা সিনহা/ ৬ জুন ২০২৩ ইং।