ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ডাচবাংলা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে হওয়া ওই সংঘর্ষে পুলিশ ও বিএনপির এক নেতা গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন৷
এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেনসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজধানীর প্রবেশমুখ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে প্রস্তুতি নেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
এ সময় ডাচবাংলা গলির ভেতর দিয়ে তারা মহাসড়কে উঠার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কের এক পর্যায়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়।
জবাবে রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। আটক করা হয় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার প্রধান, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাগর প্রধানসহ পাঁচজনকে।
সংঘর্ষে ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম টিটু গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিনা অনুমতিতে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ সেখানে যায়। পরে তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে বিএনপির লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ লাঠিচার্জসহ রাবাব বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’