মরণোত্তর কিডনি দান করে দেশব্যাপী সাড়া ফেলেছিলেন সারাহ ইসলাম নামক এক তরুণী। সেই কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিলো শামীমা আক্তার নামক এক নারীকে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে শামীমার মৃত্যু হয়। তার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায়।
শামীমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসএমএমইউ’র ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল।
তিনি জানান, শেষ ছয় মাস শামীমা আমাদের আওতার বাইরে ছিলেন। কিছুদিন আগে তার ভাই জানান, শামীমার শরীরে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেছে। এরপর তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। শুরুর দিকে কিছুটা উন্নতি হলেও পরবর্তীতে শামীমার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেই সময় তার সি ভাইরাস ও বিরল নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। আমরা তার ডায়ালাইসিসও শুরু করেছিলাম। কিন্তু তাতে তেমন কাজ হয়নি। সবশেষ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি সারাহ ইসলাম নামক এক তরুণীকে ‘ব্রেন ডেড’ ঘোষণা করেন বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসকরা। ওই রাতেই তার কিডনি শামীমা আক্তার এবং হাসিনা নামে দুই নারীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
সেসময় দেশে প্রথমবারের মতো এই ক্যাডাভেরিক কিডনি ট্রান্সপ্লান্টকে সফল বলে দাবি করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ওই ঘটনার মাত্র ৯ মাস পর অক্টোবরে হাসিনা মারা যান। শামীমা বেঁচে থাকলেও গতকাল রাতে তিনিও চলে যান না ফেরার দেশে।