সারাদেশে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল করবে আন্দোলনকারীরা

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ৫ মাস আগে

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে সারা দেশে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতদের স্মরণে বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে সারা দেশে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল করবেন আন্দোলনকারীরা।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিনগত রাত সোয়া ১২টার দিকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

সমন্বয়করা বলেন, আজকে (মঙ্গলবার) পুলিশ ও ছাত্রলীগের যৌথ হামলা ও গুলিবর্ষণে শহীদ ভাইদের জন্য আগামীকাল ১৭ জুলাই দুপুর ২ টায় রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে ‘গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল’ অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় সমন্বয়কদের পক্ষ হতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জেলায় জেলায় গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল কর্মসূচি পালন করা এবং ঢাকায় অবস্থানরত সব শিক্ষার্থীকে রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে সময়মতো চলে আসার অনুরোধ জানানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত নাঈম বলেন, আগামীকালও আমাদের কর্মসূচি থাকবে। কিন্তু আগামীকাল আশুরা থাকায় আমরা আলোচনা করে রাতে এই বিষয়ে জানাব।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কিভাবে সংকোচিত, শঙ্কিত, বিব্রত ও ভয়ের মধ্যে রয়েছে তা আপনারা আজকে দেখেছেন।

আমরা ট্রেনিংপ্রাপ্ত সন্ত্রাস না। শিক্ষার্থীদের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে তারা ট্রেনিংপ্রাপ্ত অস্ত্র সন্ত্রাসী। সেই ট্রেনিংপ্রাপ্ত অস্ত্র সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থী, যারা টেবিলে লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভীত। তারা ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও ভীতির রাজত্ব তৈরি করেছে। এই ভয়ের পরিবেশ নিরসনে আমাদের যারা শিক্ষক রয়েছেন এবং ভিসির দায়িত্বের সমালোচনা করি।

নাঈম আরও বলেন, ভিসি স্যার আমাদের অভয় ও নির্ভয় দিয়ে কোনো বিবৃতি দেননি। এমনকি আমাদের প্রক্টর স্যারও আমাদের অভয় দিয়ে কোনো বিবৃতি দেননি। যাতে করে আমরা নির্ভয় হতে পারি। তাদের শ্মশান সমান নিস্তব্ধতা আমাদের আরও ভীত-সন্ত্রস্ত করে রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে আর কোনো মহলের কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু এই যৌক্তিক আন্দোলনে ছাত্রলীগ যেভাবে মধ্যযুগীয় বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে টোকাই, বহিরাগত ও যুবলীগকে নিয়ে আমরা এতে ভীত-সন্ত্রস্ত। আমরা নিরাপত্তা চাই।