উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ও এর কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে শুক্রবার (২৯ জুন) দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শনিবারও দেশের ছয় বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। অন্য দুই বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে আগামী তিন দিন এমন বৃষ্টি চলতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
মৌসুমি বায়ু গত ৩০ মে দেশে প্রবেশ করে। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়। তবে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের পরই দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় তাপপ্রবাহ।
বিশেষ করে রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে টানা তাপপ্রবাহ চলে। এর মধ্যে অনেক স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হয়েছে বটে তবে দেশজুড়ে টানা বৃষ্টি হয়নি সেই অর্থে।
বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সন্ধ্যায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে পূর্বাভাস দিয়েছে। সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী শনিবার বরিশাল ও খুলনা ছাড়া বাকি ছয় বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আর এই ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশংকার কথাও বলেছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, মৌসুমি বায়ু এখন সক্রিয়। তাই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এটি জুলাই মাসের প্রথম কয়েক দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।
বৃষ্টি ১ থেকে ১০ মিলিমিটার হলে সেটিকে হালকা বৃষ্টি বলা হয়। আর ১১ থেকে ২২ মিলিমিটারের মধ্যে বৃষ্টি হলে তা মাঝারি ধরনের বৃষ্টি। মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি বলা হয় পরিমাণ ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার হলে। আর ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটারের বৃষ্টি হচ্ছে ভারী বৃষ্টি। যদি ৮৮ মিলিমিটারের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়, তবে তা অতি ভারী বৃষ্টি হিসেবে ধরা হয়।