বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোষ্টারবয় সাকিব আল হাসান। সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষে এবার রাজনীতির মাঠে নেমে পড়েছেন তিনি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লিগের ৩ আসনের মনোনয়ন কিনেছেন টাইগার দলপতি।
২০১৮ সালে নির্বাচনেও সাকিবের নির্বাচনে অংশগ্রহণের গুঞ্জন ছিল।
কিন্তু সেবার তেমন তোড়জোড় না করলেও এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বিক্রির প্রথম দিনেই ঢাকা-১০, মাগুরা ১ ও ২ আসনের মনোনয়ন ফরম কেনেন তিনি।
এবার মনোনয়ন পাকা করতে নেতাদের কাছেও ছুটছেন সাকিব। গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে দেখা করেন তারকা এই ক্রিকেটার।
এবার সাকিবের রাজনীতির মাঠে যোগদানের পক্ষে কথা বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মনোনয়নের প্রসঙ্গে ব্রিফিংয়ে সাকিবকে নিয়ে কথা বলেন তিনি।
ক্রিকেট খেলা অবস্থায় সাকিবের রাজনীতিতে আসায় নৈতিবাচক কথাও উঠছে দেশজুড়ে। সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে কথা উঠলে তার পক্ষেই কথা বললেন কাদের। তার মতে, সাকিবের রাজনীতি করার অধিকার আছে। তিনি এখন থেকে রাজনীতি করবেন এমনটি দলকেও বলেছেন কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশে তারকাদের মনোনয়ন দেয়ার রেওয়াজ আছে। সাকিবের রাজনীতি করার চিন্তা-ভাবনা আছে। জনগণের সেবা করবে। তার মনোনয়ন নেয়ার অধিকার আছে।’
রোববারের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৩০০ আসনের প্রার্থিতা ঘোষণা করা হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নতুন মুখও এসেছে কিছু বাদও পড়েছে। বিজয়ী হতে পারে এমন প্রার্থীদের বাদ দেয়নি আওয়ামী লীগ। মনোনয়নে ভুলত্রুটিও থাকতে পারে। একসঙ্গে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে (মনোনয়ন পাননি) তারা বিজয়ী হতে পারবেন না। অনেকে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। নতুন করে তাদেরকে প্রার্থী করা হয়নি।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা পেতে ঢাকা-১০,মাগুরা-১ এবং মাগুরা-২ আসনে দলটির মনোনয়ন ফরম কিনে জমা দিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান৷