ফিড বাচ্চার দাম নির্ধারণ না করে সরকার ডিমের দাম নির্ধারণ করায় সুফল বঞ্চিত হবে জনগণ। এমনকি এ কারণে আগামীতে সংকট আরো বড় হবে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন (বিপিএ)।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি সুমন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকার সাড়ে ১০ টাকা উৎপাদন খরচের বিপরীতে খামারে ডিমের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করলো ১২ টাকা। এর ফলে উৎপাদক কি জনগণের সেবা করবে? বরং আগামীতে সংকট আরো ঘনীভূত হবে। বাজার নিয়ে তোপের মুখে পরবে। বেঁধে দেয়া দাম কাগজে কলমে থাকবে সুফল পাবে না জনগণ।
এতে আরও বলা হয়, ডিম-মুরগির বাজারে স্বস্তি পেতে পোল্ট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম নির্ধারণ করে উৎপাদন খরচকে স্থির করতে হবে। এর প্রেক্ষিতে ডিমের দাম নির্ধারণ করা হলে বাজারে স্বস্তি ফিরবে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন বলছে, ডিমের দাম নির্ধারণ করবেন আর কর্পোরেট গ্রুপগুলো ফিড বাচ্চার দাম ইচ্ছে মতবাড়িয়ে দিয়ে প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিয়ে লসে ফেলে দিচ্ছে। সরকারের চাপে পরে প্রান্তিক খামারিদের ডিম ও মুরগি কম দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে।
বিপিএ অভিযোগ করছে, কৃষি আইনে বলা আছে, উৎপাদক ৩০% লাভ করতে পারবে কিন্তু কর্পোরেট গ্রুপ গুলো ডিম মুরগিতে ৬০% পোল্ট্রি ফিডে ৫০% মুরগির বাচ্চায় ১০০% থেকে ১৫০% পর্যন্ত লাভ করে অন্য দিকে প্রান্তিক খামারি সব সময় লস করে বিক্রয় করতে হয় । সরকার কর্পোরেটদের কাছে কেন ফিড ও মুরগির বাচ্চার উৎপাদন খরচ জানতে চাচ্ছে না। ফিড মিল ও হ্যাচারিগুলোতে অভিযান করে পোল্ট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম নির্ধারণ না করে খুচরা বাজারে অভিজান করলে কোন সুফল আসবে না বাজারে অস্থিরতা বারবে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।যেখানে অভিযান করার প্রয়জন সেখানে সরকার যাচ্ছেন না বড় বড় রাঘব বোয়ালদের কাছে সরকার মনে হয় জিম্মি। তবে প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিদের পোল্ট্রি ফিডের দাম কমানো না হলে বাচ্চার দাম বেঁধে না দিলে এই শিল্পে আরো সংকট বেড়ে যাবে।
আরও অভিযোগ করা হয়েছে, কর্পোরেটদের ডিমের ক্যাটাগরিভাগ করে বিক্রয় করে বড় মাঝারি ছোট জির সাইজ এ বি সি প্যাকেট জাত করে বেশি দামে বিক্রয় করে ডি ক্যাটাগরি খোলা বাজারে আসে আর প্রান্তিক খামারিদের ডিমের কোন ক্যাটাগরি হয় না সব ডিম খোলা বাজারে।