সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন ধরনের অসন্তোষ নিরসনে একটি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই কমিশনের প্রধান হবেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে সরকারি চাকরিরত অনেকে নানাভাবে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন।
পদবঞ্চিত হয়েছেন, পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন। এর বাইরে সরকারি চাকরিকেন্দ্রিক নানা দাবি আছে। সবকিছু পর্যালোচনা করে এই কমিশন সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেবে। তিনি বলেন, সরকার নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী এবং সহমর্মিতার সঙ্গে সুপারিশগুলো বিবেচনা করবে।
সরকারি সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। তারপর আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি কমিশনের প্রধান হতে রাজি হন। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিশনের কার্যালয় হবে রাজধানীর সেগুনবাগিচায়।
এই কমিশনের কাজ কি:
কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপনে কার্যপরিধি স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হবে। তবে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সরকারি চাকরিতে পদোন্নতি ও পদবঞ্চিতরা তাদের দাবিগুলো কমিশনের কাছে পেশ করতে পারবেন। যারা সুযোগ–সুবিধাবঞ্চিত তারাও তাদের সমস্যা তুলে ধরতে পারবেন। সরকারি প্রকল্পে কর্মরত যারা চাকরি স্থায়ী করার দাবি করছেন, তারাও কমিশনের কাছে যেতে পারবেন। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবিটি কমিশন পর্যালোচনা করবে। সরকারি চাকরি–সংক্রান্ত অন্যান্য কিছু বিষয় নিয়েও কাজ করবে এই কমিশন।
প্রসঙ্গত, গণ অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সরকারি চাকরি–সংক্রান্ত নানা দাবিতে ঢাকায় নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এসব দাবি সঠিকভাবে পর্যালোচনা করে সে সংক্রান্ত সুপারিশ দিতে নতুন সরকার এই কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।