সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে এতদিন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে অর্থাৎ ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।
তবে এবার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিসহ সব গ্রেডে কোটাকে যৌক্তিক পরিমাণে সংস্কারের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৭ জুলাই) রাত পৌনে ৮টায় শাহবাগ থেকে শিক্ষার্থীরা এ দাবি ঘোষণা করেন।
আন্দোলনের সমম্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে মূল ব্লকেড আন্দোলন শুরু হবে। তাছাড়া একই সময়ে সারা দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে এই ব্লকেড কর্মসূচি শুরু হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটা ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা সংস্কার করতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, এবার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে নয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতেও কোটার যৌক্তিক সংস্কার চাই আমরা। আমাদের বারবার আদালত দেখানো হচ্ছে। আমরা তাদের সংবিধান দেখাচ্ছি।
তিনি বলেন, কোটার বিষয়ে রাজপথ থেকেই ফয়সালা হবে। আলাপের দিন শেষ হয়ে গেছে। আমরা আলোচনা করেছিলাম ২০১৮ সালে। বিনিময়ে আমরা পেয়েছি প্রহসন।
এদিকে রোববার রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও রেললাইনে বাংলা ব্লকেড পালনের ঘোষণা দিয়েছেন কোটাবিরোধীরা। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, তিতুমীর কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন।
একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন অনির্দিষ্টকালের জন্য চলমান থাকবে বলেও জানান আন্দোলনকারীরা।