পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের যারা সঠিক উপায়ে, নিরাপদ ছাদ বাগান করবেন তাদের পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশান ডিএনসিসি নগরভবনে ছাদ বাগান নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে অক্সিজেনের খুব প্রয়োজন, আমরা ঢাকা শহরকে অক্সিজেনের হাব বানাতে চাই। সেক্ষেত্রে ছাদ বাগান, ছাদ কৃষি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডিএনসিসির আওতাধীন সকল এলাকায় যারা সঠিক উপায়ে, নিরাপদভাবে ছাদ বাগান করবেন তাদের আমরা পুরস্কৃত করব। আমরা যদি সঠিকভাবে ছাদ বাগান করতে পারি তাহলে সেখান থেকে কেমন অক্সিজেন পাব, তেমনি উৎপাদিত খাদ্য আমরা খেতেও পারব। আমরা বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিয়েছি সঠিক উপায়ে ছাদ বাগান করলে আমরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সেই ছাদ বাগানের মালিককে পুরস্কৃত করব।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরের অক্সিজেনের জন্য গাছ লাগাতে সবাই যেন উদ্ভূত হয় সে কারণে আমরা গাছের পরিচর্যার জন্য গাছের হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। সেই সঙ্গে অ্যানিম্যাল কেয়ারের জন্য একটি অ্যানিম্যাল হাসপাতাল তৈরি করব। আমরা ইতিমধ্যে মিরপুরে একটি জায়গা নির্ধারণ করেছি যেখানে এই দুই ধরনের হাসপাতাল আমরা নির্মাণ করা হবে। কোন গাছ যদি অসুস্থ হয় সেই গাছের মালিক আমাদের এই হাসপাতালে এসে গাছের পরিচর্যা করার জন্য, ভালো রাখার জন্য সার্বিক পরামর্শ এবং চিকিৎসা পাবেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, শহরে গাছ লাগানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে শিশুর জন্ম সনদের সঙ্গে একটি করে চারা গাছ উপহার দিচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা ৭ হাজার ২০০টি চারা জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে বিতরণ করেছি। যখন একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করছে, তখনই যদি সেই বাবা-মা আমাদের দেওয়া এই চারা গাছটি লাগিয়ে দেয় তাহলে ১০ বছর পর সেই সন্তানটি যেমন অক্সিজেন পাবে, তেমনি সেই গাছের ফল খেতে পারবে।
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, তবে খেয়াল রাখতে হবে ছাদ বাগান বা গাছ কৃষি পরিচালনা করতে গিয়ে যেন এডিস মশার লার্ভা জন্মাতে না পারে, সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে, তৎপর হতে হবে। এডিস মশাল লার্ভা নিয়ন্ত্রণে আমাদের কাউন্সিলররা কাজ করে যাচ্ছেন। সব জায়গায় গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন, আমরা নিজেরাও করপোরেশনের পক্ষ থেকে এডিসের লার্ভা নিয়ন্ত্রণের জন্য সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
ছাদ বাগান বিষয়ক আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।