শ্রীলংকা-পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্ব ও বাংলাদেশের অর্থনীতি

::
প্রকাশ: ২ years ago

পাকিস্তানের অর্থনীতি শ্রীলংকার মতো দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। তারা অনেকদিন আগে আইএমএফের কাছে ‘বেইলআউট ঋণ’ চাইলেও আইএমএফ এমন কঠোর শর্ত আরোপ করতে চাইছে যেগুলো পূরণের ক্ষমতা পাকিস্তানের বর্তমান শাসক জোটের নেই। এমনকি পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত বন্ধু চীন ও সৌদি আরবও এখন আর পাকিস্তানের ভার নিতে নারাজ। চীনের ঋণে পাকিস্তান যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করেছে সেগুলোর বহুদিন আটকে থাকা কিস্তির পাওনা অর্থ পাকিস্তান পরিশোধ না করায় ওই কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে চীন। এ কারণে সারা পাকিস্তানে ভয়ানক লোডশেডিং চলছে। প্রায়ই গ্রিড ফেইলিয়রের শিকার হচ্ছে। পাকিস্তানি রুপিতে ডলারের মূল্য নাটকীয়ভাবে বেড়েছে, বর্তমানে ১ ডলার পেতে পাকিস্তানকে গুনতে হচ্ছে ২৭৭ রুপি।

পাবলিক রিঅ্যাকশনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

পাকিস্তানের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি এমন ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছে গেছে যে এখন এক কেজি আটার দাম ১৬০ রুপি ছাড়িয়ে গেছে এবং এক কেজি চিনির দাম ৩০০ রুপির বেশি। এ সংকটের প্রধান কারণ সাড়ে পাঁচ লাখ সেনাবাহিনীসহ সাত লাখের বিশাল সশস্ত্র¿বাহিনীর বোঝা। পাকিস্তানের পক্ষে অর্থনৈতিক যুক্তিতে সম্ভব না হলেও শুধু ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য এত বড় সৈন্যবাহিনী গড়ে তুলেছে। ১৯৪৭-৪৯ সালের কাশ্মীর যুদ্ধ দিয়ে দুই দেশের শত্রুতার শুরু, যার শেষ হয়েছিল জাতিসংঘ আরোপিত অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে কোনো পক্ষের জয়-পরাজয় নিশ্চিত না হলেও তাসখন্দ চুক্তির মাধ্যমে যে যুদ্ধের নিষ্পত্তি হয়েছিল তাতে কূটনৈতিক বিজয় ভারতেরই হয়েছিল। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়ে ঢাকায় আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি সশস্ত্র¿বাহিনী, যার মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণাকারী বাংলাদেশ বিজয়ের মাধ্যমে যাত্রা করেছিল ১৬ ডিসেম্বর। সর্বশেষ ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধেও উদ্দেশ্য হাসিলে ব্যর্থ পাকিস্তান অস্ত্রবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু এ যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হিসেবে পাকিস্তান রাষ্ট্রটির প্রকৃত শাসনক্ষমতা ১৯৪৮-৫৮ পর্বে পর্দার আড়াল থেকে এবং ১৯৫৮-৭১ পর্বে সরাসরি সামরিক এস্টাবলিশমেন্টের করতলগত হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশকে হারানোর পর ১৯৭১-২০২৩ পর্বেও পাকিস্তানের শাসকের ভূমিকা থেকে সামরিক বাহিনীকে বেশি দিন দূরে সরিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না, কিছুদিন পরপর সামরিক একনায়করা পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করছে। আবার যখন কিছুদিনের জন্য সামরিক বাহিনী সিভিলিয়ান শাসকদের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে তখনো শাসনক্ষমতার প্রকৃত লাগাম নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে দিচ্ছে তারা। বর্তমান পর্বে ইমরান খান নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন সামরিক বাহিনীর প্রিয়পাত্র হিসেবে তাদের মদদে, কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই সেনাপ্রধান কামার বাজওয়ার সঙ্গে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের জেরে কিছুদিন আগে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে শাহবাজ শরিফকে ক্ষমতায় বসানোর পেছনেও যে সামরিক এস্টাবলিশমেন্টই কলকাঠি নেড়েছে তা বুঝতে কারো অসুবিধা হয়নি। এ ক্ষমতা দখলের খেলায় সামরিক এস্টাবলিশমেন্টের মহাপরাক্রমশালী হাতিয়ার হিসেবে ভূমিকা পালন করছে পাকিস্তানের সশস্ত্র¿ বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই।

২০০৭ সালে ড. আয়েশা সিদ্দিকা রচিত মিলিটারি ইনকরপোরেশন;: ইনসাইড পাকিস্তান’স মিলিটারি ইকোনমি বইটি প্রকাশ হওয়ার পর সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এ বইয়ে ড. আয়েশা সিদ্দিকা পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী কীভাবে ১৯৪৭ সালের পর পাকিস্তানের শাসনক্ষমতা নিজেদের করায়ত্ত করেছে সে ইতিহাস উপস্থাপনের পর এর ধারাবাহিকতায় জেনারেলদের নেতৃত্বে আর্মি অফিসাররা পাকিস্তানের অর্থনীতিতে কীভাবে প্রাধান্য বিস্তার করেছে তা বিশদভাবে বর্ণনা ও বিশ্লেষণ করেছেন।

২০০৫ সালেই সামরিক অর্থনীতি পাকিস্তানের অর্থনীতির প্রধান শক্তিতে পরিণত হয়ে যায়, যেখানে চারটি সশস্ত্র বাহিনীসৃষ্ট সংস্থা ফৌজি ফাউন্ডেশন, আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, শাহীন ফাউন্ডেশন এবং বাহারিয়া ফাউন্ডেশন দেশটির সর্ববৃহৎ চারটি ব্যবসায় ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়ে গেছে। ফৌজি ফাউন্ডেশনের রয়েছে ২৫টি প্রকল্প, আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের রয়েছে ৪১টি প্রকল্প, শাহীন ফাউন্ডেশনের ১৪টি প্রকল্প এবং বাহারিয়া ফাউন্ডেশনের আছে ১৯টি প্রকল্প—২০০৫ সালের এ ৯৯টি প্রকল্পের নাম উল্লেখ আছে বইয়ে। সরকারের খাসজমি বা হুকুমদখল করা গ্রামীণ বা শহুরে জমি ইজারা নেয়ার ব্যাপারে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিরঙ্কুশ অগ্রাধিকারের কারণে পাকিস্তানের সর্বত্র এখন নব্য-ভূস্বামী শ্রেণী হিসেবে সামরিক অফিসাররা পাকিস্তানে অন্য সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন। সারা পাকিস্তানে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ একর জমি সামরিক বাহিনীর চাকরিরত কিংবা অবসরপ্রাপ্ত অফিসার ও কর্মচারীদের মালিকানায় চলে গেছে। পাকিস্তানের যেকোনো বড় বা মাঝারি নগরে এখন সবচেয়ে বড় আবাসিক এলাকা হয়ে গেছে একাধিক ডিফেন্স অফিসার্স হাউজিং সোসাইটির আবাসিক এলাকা। পাকিস্তান রাষ্ট্রটি যে অদূর ভবিষ্যতে সামরিক বাহিনীর দখলদারি থেকে মুক্তি পাবে না সেটাই ড. সিদ্দিকার বেদনাবিধুর উপসংহার।

১৯৪৮ সাল থেকেই পাকিস্তান সরকারের বাজেটের প্রধান খাত হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিরক্ষা খাত, যেখান থেকে গত ৭৫ বছরেও ওই খাতকে সরানো যায়নি। এ ধরনের রাষ্ট্রে প্রতিরক্ষা খাতের

বাজেটে হাত দেয়ার ধৃষ্টতা পাকিস্তানের কোনো সরকারেরই থাকার প্রশ্ন অবান্তর। কিন্তু এ অসহনীয় বোঝা যে পাকিস্তানের অর্থনীতিকে ‘মেল্টডাউনের গিরিখাতে’ ধাবিত করছে সে সত্যটা বিশ্বের সামনে নগ্নভাবে উদ্ভাসিত হতে চলেছে এবার। বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম জনসংখ্যা-অধ্যুষিত দেশ পাকিস্তানের জনসংখ্যা দ্রুতগতিতে বেড়ে এখন সাড়ে বাইশ কোটি অতিক্রম করেছে, যাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার জোগান দেয়া এত বড় সশস্ত্র¿বাহিনীর খাই মেটানোর পর কোনোমতেই পাকিস্তানের কোনো শাসক দল বা জোটের জন্য সম্ভব হচ্ছে না। দেশটির বার্ষিক রফতানি আয় এখনো ২৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়ে গেছে, অথচ আমদানি ব্যয় ৮০-৯০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাচ্ছে প্রতি বছর। প্রতিরক্ষা খাতের বিপুল ব্যয় বরাদ্দ মেটানোর পর জনগণের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের ন্যূনতম প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা সরকারের সাধ্যের বাইরে থেকে যাচ্ছে প্রতি বছর। জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকের বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে পাকিস্তানের অবস্থান প্রতি বছর নিচে নেমে যাচ্ছে। ২০২২ সালে বাংলাদেশ যেখানে এক্ষেত্রে ক্রমোন্নতির ধারায় ১২৯ নম্বর অবস্থানে উন্নীত হয়েছে সেখানে পাকিস্তানের অবস্থান নেমে গেছে ১৪৭ নম্বরে। ১৯৪৭-৭১ পর্বে পূর্ব বাংলা/পূর্ব পাকিস্তানকে অভ্যন্তরীণ উপনিবেশ হিসেবে শোষণ, বঞ্চনা, সীমাহীন বৈষম্য ও লুণ্ঠনের অসহায় শিকারে পরিণত করেছিল পাকিস্তানের শাসকরা, যার পরিণতিতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু জিডিপি পশ্চিম পাকিস্তানের চেয়ে ৬০ শতাংশ কম ছিল। অথচ ২০১৫ সালেই মাথাপিছু জিডিপির বিচারে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের তুলনামূলক চিত্র দেখা যেতে পারে।

১) মাথাপিছু জিডিপিতে বাংলাদেশ পাকিস্তানের তুলনায় ৮০ শতাংশ এগিয়ে গেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ২৭৯৩ ডলার এবং পাকিস্তানের ১৫৪৭ ডলার। ২) বাংলাদেশের রফতানি আয় পাকিস্তানের দ্বিগুণেরও বেশি, ২০২১-২২ অর্থবছরে তা ৫২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ৩) বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল, গত ১৭ মাসে হ্রাস পেয়ে তা ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি মোতাবেক ২৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ালেও সেটা পাকিস্তানের আট গুণেরও বেশি। (বাংলাদেশ সরকারের হিসাব মোতাবেক বাংলাদেশের রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার)। ৪) বাংলাদেশের জনগণের গড় আয়ু ৭৩ বছর, পাকিস্তানের ৬৬ বছর। ৫) বাংলাদেশের জনগণের সাক্ষরতার হার ৭৬ শতাংশ, আর পাকিস্তানের ৫৯ শতাংশ। ৬) বাংলাদেশের মোট জিডিপি ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার, আর পাকিস্তানের ৩৪৬ বিলিয়ন ডলার। ৭) বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২ শতাংশ আর পাকিস্তানের ২ দশমিক ১ শতাংশ। ফলে পাকিস্তানের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ২২ কোটিতে, আর বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। ৮) বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১০৭ টাকায় ১ ডলার পাওয়া যায়, পাকিস্তানে ১ ডলার কিনতে ২৭৭ রুপি লাগে। অথচ ২০০৭ সাল পর্যন্ত রুপির বৈদেশিক মান টাকার তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি ছিল। ৯) বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণ জিডিপির ২০ দশমিক ৪৮ শতাংশ, অথচ পাকিস্তানে তা

জিডিপির ৪৬ শতাংশ। ১০) বাংলাদেশের নারীদের ৩৬ শতাংশ বাড়ির আঙিনার বাইরে কর্মরত, পাকিস্তানে এ অনুপাত মাত্র ১৪ শতাংশ। ১১) বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর হার হাজারে ২১, আর পাকিস্তানে ৫৯। ১২) বাংলাদেশের শতভাগ জনগণ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে, অথচ পাকিস্তানের ৭৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে।

উল্লিখিত তথ্য-উপাত্তগুলো সাক্ষ্য দিচ্ছে, পাকিস্তান অর্থনৈতিক উন্নয়নের দৌড়ে আর কখনই বাংলাদেশের নাগাল পাবে না। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ক্রমে বেড়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। ২০২০-২২ সময়ে নভেল করোনাভাইরাস মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমে গেলেও তা পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি ছিল এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার আবার সাড়ে ৬ শতাংশ অতিক্রম করবে বলে প্রাক্কলন করা হচ্ছে। দুর্নীতি, পুঁজি লুণ্ঠন ও পুঁজি পাচারের মতো ক্ষতিকর কর্মকাণ্ডকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করলে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ বাংলাদেশের অর্থনীতি যে অতিদ্রুত উচ্চমধ্যম আয়ের ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে সে ব্যাপারে উন্নয়ন চিন্তকরা আশাবাদী। কিন্তু এর জন্য দুর্নীতি, পুঁজি লুণ্ঠন ও পুঁজি পাচারের মতো মূল সমস্যাগুলোকে সঠিকভাবে দমন করতে হবে।

লেখিকা: মেহজাবিন বানু, কলামিস্ট, উন্নয়ন ও স্থানীয় সমাজকর্মী।


আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভার্চুয়াল মতামত ও অন্যান্য ভিডিও পাবেন।

গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।


Public Reaction একটি মতামতভিত্তিক সাইট।
মূলধারার সংবাদ এবং মতামত, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতাসহ সৃজনশীল লেখা প্রকাশের একটি মুক্তমাধ্যম এটি। লিখুন আপনিও।
ইমেইল: opinion2mail@gmail.com, info@publicreaction.net