২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
গণবিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর অভিযোগ ওঠে, সরকার উৎখাতে হস্তক্ষেপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অবশেষে এ বিষয়ে মুখ খুলেছে দেশটি। সরকার উৎখাতে তাদের কোনো ভূমিকা নেই জানিয়ে এটিকে নিছক মিথ্যা অভিযোগ বলেও আখ্যায়িত করেছে দেশটি।
আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না। একইসঙ্গে বাংলাদেশে মার্কিন হস্তক্ষেপের অভিযোগকে ‘কেবলই মিথ্যা’।
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমাদের আদৌ কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে যদি কোনো প্রতিবেদনে বলা হয় বা গুজব ছড়ানো হয় তবে তা নিছক মিথ্যা। ’
গত রোববার ভারতের ইকোনমিক টাইমস পত্রিকা তাদের একটি প্রতিবেদনে পলাতক হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে কারণ তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চায়। হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মাধ্যমে পত্রিকাটির কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল।
শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় অবশ্য গত রোববার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, তিনি (হাসিনা) কখনোই এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি।
