বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে যে চিঠি ঢাকার তরফে দিল্লিকে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাইরে শুভেন্দু বলেছেন, আমার মনে হয়, ভারত সরকার ওই চিঠিটা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে।
বাংলাদেশের ওই নাবালক উপদেষ্টারা ভারতের ইতিহাস জানে না। এই ভারত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আশ্রয় দিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছে। দালাই লামাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল।
তিনি বলেন, চীনের মতো শক্তিশালী দেশের রক্তচক্ষুকেও ভারত উপেক্ষা করে দালাই লামাকে আশ্রয় দিয়েছে, সেখানে এরা তো পাতি দেশ!
শুভেন্দু আরও বলেন, রাফাল (ভারতীয় যুদ্ধবিমান) তো দূরের কথা, তার শব্দেই ওরা পালাবে। এদের কেউ গুণতির মধ্যেই রাখে না। হেঁটে গেলে তাদের মাড়িয়ে দিয়ে চলে যাব। কলকাতা শহরে আজকে যে গারবেজ উঠেছে, সেই গারবেজ কার্গো বিমানে করে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের উপর খুলে দিলেই মুহাম্মদ ইউনূসসহ বাংলাদেশ ঢেকে যাবে।
বিজেপির এই নেতা বলেন, যারা মুক্তিযোদ্ধাকে জুতোর মালা পরিয়েছে, তাদের গোলাম (গোলাম আযম), নিজামীর (মতিউর রহমান নিজামী) মতো গলায় দড়ি পড়তে হবে। আজ এই রাজাকারের নাতিদের কী অবস্থা হয়, সেটা দেখতে থাকুন। এরা অতীত থেকে এখনো শিক্ষা নেয়নি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আবেগ যারা অস্বীকার করবে, তাদের কপালে গোলাম-নিজামীর মতো দড়ি অপেক্ষা করছে।
এ দিন বিধানসভায় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তির বিষয়টি দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার অভিমত, হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারই ঠিক করবে। এ বিষয়ে আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বলেছেন যে, বাংলাদেশে ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকারও সে ব্যাপারে সহমত পোষণ করবে।