শিশুদের হাতে ডিভাইস, কন্ট্রোল রাখতে পারেন অ্যাপসে

::
প্রকাশ: ২ years ago
প্রতীকী ছবি

পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
যুগের চাহিদার কারনেই এখন বাবা-মা ব্যস্ত থাকেন। এ জন্য শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিচ্ছেন অভিভাবকরা। আর এখন থেকেই শিশুরা এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আসক্ত হচ্ছে নানান ধরনের ক্ষতিকর জিনিসের সঙ্গে। আর একটি প্রধান কারণ হচ্ছে অভিভাবকরা শিশুদের ফোন নাড়ার সময় কোন অ্যাপসে ঢুকছে বা কোন ব্রাউজারে কতক্ষণ থাকছে ইত্যাদি না বোঝার কারেণ শিশুদের খারাপ পথে গেলেও তারা কিছু করতে পারছে না বা বুঝতে পারছে না। তবে বর্তমানে উন্নত বিশ্বে এমন অ্যাপসও রয়েছে যার মধ্যে শিশুরা কী করছে ফোনে, কোন ব্রাউজার কতক্ষণ চালাচ্ছে, ইত্যাদি সব বিষয় উঠে আসে।

শিশুদের নজরদারিতে রাখতে কিডস ৩৬০-এর তৈরি করে এক বিশেষ অ্যাপস। এটি একটি‌ ‌‘প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অ্যাপস’ যা শিশুদের মোবাইল ফোন নাড়ার নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেবে এবং তাদের ফোন চালানোর সব তথ্য চলে যাবে অভিভাবকদের কাছে। প্রথমে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে ‘প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অ্যাপস’ লিখে সার্চ দিলেই চলে আসবে সেই অ্যাপস। অ্যাপসটি চালু করে রাখলে অভিভাবকরা দেখতে পাবেন কোন অ্যাপস বা কোন ব্রাউজার কতক্ষণ চালিয়েছে শিশুরা। এমনকি অভিভাবকরা চাইলে প্রতি অ্যাপসে নির্দিষ্ট সময় সেট করে রাখতে পারবেন। যেমন- ইউটিউব দিনে ২ ঘণ্টার বেশি ব্যবহার করা যাবে না। ২ ঘণ্টা হয়ে গেলে অ্যাপসটি অটো লক হয়ে যাবে। ফোনের ডিসপ্লে কতক্ষণ অন আছে, কোন অ্যাপস কতক্ষণ অন থাকছে সব তথ্য অভিভাবকরা দেখতে পাবেন। এমনকি কোনো অনিরাপদ অ্যাপস বা ব্রাউজার থাকলে সেগুলো লক করারও সুযোগ আছে এই অ্যাপসটিতে, যেন শিশুরা এইসব অ্যাপসে ঢুকতে না পারে।

২০১৬ সালের একটি জরিপে দেখা যায় যে ঢাকার স্কুলগামী ৭৭ ভাগ শিশু পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। আর এর বাইরেও নানান ক্ষতিকর ভিডিও শিশুদের খারাপ পথে টেনে আনছে যা শঙ্কা তৈরি করছে অভিভাবকদের। অভিভাবকদের কড়া নজরদারিতে রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না শিশুরা কতক্ষণ ফোন চালাচ্ছে বা তাদের ব্যবহারের ইত্যাদি তথ্য। তবে এই অ্যাপসটি অভিভাবকদের অনেকটাই চিন্তামুক্ত করতে পারে যেন তারা নিরাপদ ভাবে ইন্টারনেট বা মোবাইল ফোন ইউজ করতে পারে।

সমস্যা হলো এমন এপস সম্পর্কে এখনও জানেন না অনেক অভিভাবক। তাই শিশুদের সুরক্ষিত ও সুস্থ মানসিকতা গড়ে তুলতে অভিভাবকদের এই অ্যাপসগুলো সম্পর্কে জানাতে হবে। বিভিন্ন টিভি শো এবং নিউজ বা প্রতিবেদনের মাধ্যমে অভিভাবকদের জানাতে হবে এগুলো সম্পর্কে। অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হলে শিশুরা সুরক্ষিত থাকবে ইন্টারনেটের খারাপ প্রভাব থেকে।