শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে গ্রেপ্তারের দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের

::
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

সংবিধান ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অপরাধে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

বুধবার (২৪ জানুয়ার) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এ দাবি জানায়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আরও বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, সংগঠনের উপদেষ্টা ভাস্কর্য শিল্পী রাশা, দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ নূর আলম সরদার প্রমুখ।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে পাঠ্যপুস্তক নিয়ে গুজব ও অপব্যাখ্যা ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি মানবতাবিরোধী বক্তব্য দেওয়ার অপরাধে জামায়াতি এজেন্ট পশ্চিমা ইহুদিদের দালাল আসিফ মাহতাবকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সংবিধান লঙ্ঘন করার অপরাধে আসিফ মাহতাব ও মহিউদ্দিন রনিকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় অভিযুক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার আলবদরদের দোসর আসিফ মাহতাব উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পাঠ্যপুস্তক ছিঁড়ে দেশের সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছেন। তার কোনো আপত্তি থাকলে সেটি লিখিত আকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারতেন। সেটি না করে ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়ানোর উদ্দেশে এ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছেন, যা কখনোই এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের এজেন্ট আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক। কারণ সে সংবিধান লঙ্ঘন করে ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়িয়ে মৌলবাদী গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে। রাষ্ট্রের উচিত ছিল অনেক আগেই আসিফ মাহতাব ও মহিউদ্দিন রনিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, ‘আসিফ মাহতাব পাঠ্যপুস্তকের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করেছেন। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। রাজপথের পাশাপাশি অনলাইনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।


[প্রিয় পাঠক, পাবলিক রিঅ্যাকশনের প্রায় প্রতিটি বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। আপনার অনুভূতির কথা আমাদের লিখে পাঠান। ছবিসহ মেইল করুন opinion2mail@gmail.com এই ঠিকানায়। যে কোনো খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। পাঠকের লেখা আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।]