‘শামসুজ্জামানের মামলা ও আটকের ঘটনা গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তায় গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে’

:: পা.রি. রিপোর্ট ::
প্রকাশ: ১ বছর আগে

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা এবং আটকের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

আর্টিকেল নাইনটিন-এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল আজ শুক্রবার (৩১ মার্চ, ২০২৩) এক বিবৃতিতে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া এবং তাকে তুলে নেওয়া সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত নিয়ে উদ্বেগের কারণ আরও স্পষ্ট করে তুলছে। দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য নির্দিষ্ট কোনও আইন নেই।

পাবলিক রিঅ্যাকশনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর অপব্যবহারের ক্রমবর্ধমান ঘটনা চরম উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

“বাংলাদেশে সাংবাদিকদের অপহরণ এবং আইনের নানা অপব্যবহার অবিলম্বে বন্ধ করা উচিৎ” বলে তিনি দাবি করেন।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত রোববার (২৬ মার্চ ২০২৩) প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ তৈরি করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ভুল করে ছবি দেওয়া হয় একটি শিশুর। পোস্ট দেওয়ার ১৭ মিনিটের মাথায় অসংগতি নজরে আসে এবং দ্রুত তা প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি প্রতিবেদন সংশোধন করে সংশোধনীর বিষয়টি উল্লেখসহ পরে আবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ্য যে, উক্ত প্রতিবেদনের কোথাও বলা হয়নি যে উক্তিটি ওই শিশুর; বরং স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, উক্তিটি দিনমজুর জাকির হোসেনের।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বুধবার (২৯ মার্চ, ২০২৩) সাদা পোশাকে নিজেদের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্য বলে পরিচয় দেওয়া একটি দল ভোর ৪ টার দিকে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নিয়ে যান। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত দুটি মামলা হয়েছে, একটি রমনা থানায় এবং অপরটি তেজগাঁও থানায়।

বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় পর সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে রমনা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ, ২০২৩) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আনা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আর্টিকেল নাইনটিন জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ঘটনাটির যথাযথ তদন্তের জোর দাবি জানাচ্ছে। পাশাপাশি আর্টিকেল নাইনটিন এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।


আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভার্চুয়াল মতামত ও অন্যান্য ভিডিও পাবেন।

গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।


Public Reaction একটি মতামতভিত্তিক সাইট।
মূলধারার সংবাদ এবং মতামত, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতাসহ সৃজনশীল লেখা প্রকাশের একটি মুক্তমাধ্যম এটি। লিখুন আপনিও।
ইমেইল: opinion2mail@gmail.com, info@publicreaction.net