পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পর এবার দলটির আলোচিত নেতা ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
দুই বছর আগে নাশকতার এক মামলায় হাজিরা না দেয়ায় এই পরোয়ানা জারি হয়েছে।
রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল এক দশক আগে। সেটিতেও তিনি জামিনে ছিলেন এবং আদালতে হাজিরা না দেয়ায় তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে হাজিরার কথা থাকলেও যাননি ইশরাকসহ ১৩ জন। তারা সময়ের আবেদন করলেও না গ্রহণ করেননি বিচারক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচন বানচাল করার জন্য আসামিরা একত্র হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীত পাশে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পুড়িয়ে মারার উদ্দেশে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।
এ ঘটনায় পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক আতাউর রহমান ভুইয়া ইশরাকসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।
গত ৬ এপ্রিল সকালে মতিঝিল এলাকায় লিফলেট বিতরণের সময় শাপলা চত্বরের পাশ থেকে ইশরাককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিকেলে তাকে আদালতে নিলে জামিন আবেদন নাকচ হয়। তাকে পাঠানো হয় কারাগারে।
ছয় দিন পর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত বিএনপি নেতাকে জামিন দিলে তিনি মুক্তি পান।
ইশরাককে গ্রেপ্তারের নির্দেশ আসার দিনই জানাজানি হয় রিজভীকে গ্রেপ্তারের পরোয়ানার বিষয়টি, যদিও তার বিরুদ্ধে পরোয়ানাটি জারি হয় ১ ডিসেম্বর।
২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সিটি করপোরেশনের একটি ময়লার গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীসহ বেশ কয়েকজকে আসামি করে মামলা করা হয়।
১ ডিসেম্বর মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ছিল। সেদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিনজন হাজিরা দেন। কিন্তু রিজভীসহ তিনজন হাজির হননি। এরপর বিচারক তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।