সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডসের কনটেন্ট ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণ বাড়াচ্ছে এর মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। এমনকি এই দুই প্ল্যাটফর্মে কী পরিমাণ রাজনৈতিক কনটেন্ট দেখানো হবে সে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
বিভিন্ন দেশের নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে গুজব ও ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন এ উদ্যোগের আওতায় ইনস্টাগ্রাম ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে পরিচালিত থ্রেডস অ্যাপের বেশ কিছু ব্যবহারকারীর রাজনৈতিক কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ অপশনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘লিমিট’ নির্বাচন করে দেওয়া হয়েছে।
ইনস্টাগ্রামের তথ্যমতে, পলিটিক্যাল কনটেন্ট অপশনে ‘লিমিট’ নির্বাচন করা থাকলে ইনস্টাগ্রামের এক্সপ্লোর, ফিড ও রিলসে কোনো রাজনৈতিক কনটেন্ট সুপারিশ করা হবে না। তবে অনুসরণ করা অ্যাকাউন্ট থেকে রাজনৈতিক কনটেন্ট পোস্ট করা হলে সেগুলো দেখতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
ইনস্টাগ্রাম প্রধান অ্যাডাম মোসেরির তথ্যানুযায়ী, মেটার নতুন কাস্টমাইজেশন আপডেট ব্যবহারকারীদের আগ্রহ ও পছন্দকে সম্মান করে ডিজাইন করা হয়েছে। শুধু কনটেন্ট ফিল্টারিং নয় বরং নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী রাজনৈতিক কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে মেটা।
মেটার মালিকানাধীন প্লাটফর্মগুলোয় এখন থেকে যেকোনো ব্যবহারকারী সেটিংস পরিবর্তন করার মাধ্যমে রাজনৈতিক কনটেন্ট দেখতে পারবেন। তবে যারা নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় রাজনৈতিক কনটেন্ট দেখতে চান তারা সেটিংস কাস্টমাইজ করে শুধু পাবলিক অ্যাকাউন্ট প্রকাশিত এক্সপ্লোর ও রিলসে রাজনৈতিক কনটেন্ট দেখতে পারবে। নতুন কাস্টমাইজেশন অপশনটি ব্যবহারকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে মেটা।
রাজনৈতিক বিতর্কিত কনটেন্ট থেকে সামাজিক যোগাযোগের প্লাটফর্মগুলোকে দূরে রাখার বৃহত্তর কৌশলের অংশ হিসেবে এ কাস্টমাইজেশন উদ্যোগ নিয়েছে কোম্পানিটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক কনটেন্টের নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে। ঠিক সে সময় মেটা নতুন কাস্টমাইজেশন আপডেটটি চালু করেছে।
মেটার এ উদ্যোগের ফলে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কনটেন্ট প্রকাশ ও প্রচারণায় নতুন কৌশল নিতে হবে। অপরদিকে এতে লাভবান হবে সংবাদমাধ্যমগুলো। কারণ রাজনৈতিক খবর পড়তে আগ্রহীরা ফেসবুকের বদলে সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন।