রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১ বছর আগে
ফাইল ছবি

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। এতে জনজীবনে চরম ভোগান্তি নেমে এসেছে। গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর কলাবাগান, কাঁঠালবাগান, কামরাঙ্গীরচর, রায়েরবাগ, যাত্রবাড়ী, উত্তরা, রামপুরা, বাড্ডা, মিরপুর, মুগদা, পান্থপথসহ বেশ কিছু এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে।

দিনের বেলা এসব এলাকায় গ্যাস থাকে না বললেই চলে। ভোরেই গ্যাস চলে যায়, দুপুরের পর কিছুটা আসে। তবে সন্ধ্যার পর হালকা গ্যাস আসলে তা দিয়ে রান্না করা যায় না। রাত ১০টার পর গ্যাসের চাপ কিছুটা বাড়ে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, সারাদিন গ্যাস থাকে না। গভীর রাতে আসে আবার ভোর হলেই চলে যায়। দিনের বেলায় চুলা জ্বালানো যাচ্ছে না। এমন গ্যাস দিয়ে কী করব। বাধ্য হয়েই হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। অনেকেই আবার বিকল্প হিসেবে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। দুই-তিন দিনের খাবার একসঙ্গেও রান্না করছেন কেউ কেউ।

রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা নাসিমা বেগম বলেন, গ্যাস না থাকায় খুব কষ্ট হচ্ছে। সকালে ছেলটার জন্য নাশতাও তৈরি করতে পারি না। বাহির থেকে নাশতা ও টিফিন কিনে দিতে হয়। দুপুরের খাবারটাও হোটেল থেকে কিনে খেতে হচ্ছে।

কলাবাগানের বাসিন্দা রহিমা বেগম বলেন, রান্নার জন্য কি এখন প্রতিদিনি ভোর ৪টায় উঠতে হবে? মাঝে মাঝে না হয় উঠে রান্না করা যায়, তাই বলে প্রতিদিন? কি আর করব, বাধ্য হয়ে এলপিজি সিলিন্ডা কিনতে হয়েছে। তবে এতে রান্নার খরচ বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী মো. সেলিম মিয়া বলেন, গ্যাসের চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।