রাজধানীতে চুরি যাওয়া কুকুরছানা রেস্টুরেন্টে বিক্রি?

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ৮ মাস আগে
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোড। ফুটফুটে কুকুরছানাগুলো নিয়মিত দাপিয়ে বেড়ায় সড়কের এমাথা থেকে ওমাথা। পথকুকুর নিয়ে যখন সবার উদাসীনতা, তখন ব্যতিক্রম এই এলাকার লোকজন। আশপাশের বাসা-বাড়ির সবাই দেখেশুনে রাখেন এসব কুকুরছানাকে। কিন্তু, মূল কাজটা করেন শিশির জাহান জুঁই নামে এক তরুণী।

উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোড

এরই মধ্যে গত ১৭ ডিসেম্বর (২০২৩ সাল) খোয়া যায় একটি বাচ্চা। বিষয়টি নজরে এলে শিশির সড়কের দুই ধারের সব বাসায় খোঁজ নিতে থাকেন। পরে এক বাসার সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে, কুকুরের বাচ্চাটিকে অটো রিকশায় তুলে নিয়ে যাচ্ছেন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি।

চুরি যাওয়া কুকুরছানা ফিরে পেতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের শরণাপন্ন হন শিশির। শিশির জাহানের অভিযোগ, বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট বা বিদেশিদের কাছে বিক্রির উদ্দেশ্যে কাজ করছে অপরাধী চক্র। এজন্যই বিভিন্ন সময় কুকুরছানা উধাও হয়ে যাচ্ছে।

অভিযোগ পেয়ে এরই মধ্যে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জানিয়েছে, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে তারা তৎপর।

সিসিটিভি ফুটেজে বাচ্চা চুরির ঘটনা

শিশির জাহান জানান, সেক্টরের ৪ নম্বর রোডের সবাই খুব ভালো। তবে, বেশ কিছু দিন ধরেই কুকুরছানা মিসিং যাচ্ছিল। কেন এমন হচ্ছিল, আমরা বুঝতে পারছিলাম না। শেষবার যখন আমাদের কালো একটি কুকুরছানা নিখোঁজ হলো, তখন তৎপর হলাম। খোঁজ করতে গিয়ে একটি বাসার সিসিটিভি ফুটেজে বাচ্চা চুরির ঘটনা দেখতে পাই। এরপরই পুলিশে অভিযোগ করি।

কুকুরের বাচ্চাগুলো দেখভালকারী শিশির জাহান জুঁই

অভিযোগের পরই কাজ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ডিএমপি উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই মনিরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। যারা এ কাজটি করেছে, তাদের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এরপর হয়তো বিষয়টির বিস্তারিত জানতে পারবো।

নিখোঁজ এসব কুকুর ও কুকুরছানা চুরির পেছনে কোনও সংঘবদ্ধ চক্র কাজ করছে কি না— সেটাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এর আগে, খুলনায় কুকুরের মাংস দিয়ে বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁয় তৈরি হচ্ছিল বিরিয়ানি, বার্গার ও গ্রিলসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার। গত ১৩ ডিসেম্বর এ চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করে পুলিশ।

নগরীতে ইজিবাইকে করে খালিশপুর এলাকার জনৈক আবু সাঈদ ৩০ টাকা প্যাকেট মূল্যে নগরীতে ভ্রাম্যমাণ বিরিয়ানি বিক্রি করছিলেন। মূলত, তার সূত্র ধরেই কুকুরের মাংস বিক্রি চক্রকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিরিয়ানি বিক্রেতা আবু সাঈদকেও আটক করা হয়।

খুলনা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অভ্যন্তরের একটি পরিত্যক্ত ভবনে দীর্ঘদিন ধরে কুকুর জবাই করা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খালিশপুর থানা পুলিশ জবাই করা কুকুরসহ হাতেনাতে ৫ জনকে আটক করে।