রমজানের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলো মুজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী দুবাগী ট্রাষ্ট

::
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

সিলেটের বিয়ানীবাজারে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ, পীরে কামিল, হযরত আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী দুবাগী ছাহেব (রহ.) ট্রাষ্টের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পবিত্র রামাদ্বান মাস উপলক্ষে দুবাগী ছাহেব বাড়ীতে এলাকার শতাধিক গরীব ও অসহায় পরিবারের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
গত ৩১ মার্চ রোববার বাদ জোহর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুবাগ মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক হাফিজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান, দক্ষিণ দুবাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা কাজী আব্দুল কাদির, দুবাগ মক্তব মসজিদের ইমাম মাওলানা শিহাবুজ্জামান, দক্ষিণ দুবাগ বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা জামিল আহমদ সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, পীরে কামিল, হযরত আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী দুবাগী ছাহেব ক্বিবলাহ (রহ.) নিজ এলাকা সহ বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন স্থানে নিরবে নিভৃতে গরীব এতিম, বিধবা, প্রতিবন্ধী অসহায়দের সার্বিক সাহায্য-সহযোগিতা ও সেবামূলক কাজে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি মাসজিদ-মাদ্রাসা, রাস্তা-ঘাট ইত্যাদি নির্মাণে সাহায্যের হাত প্রসারিত করতেন। এতিম-অনাথদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতেন। অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তা, অসহায় মানুষকে ঘর তৈরী ও মেরামত, ঢেউটিন বিতরণ, নিরাপদ পানি পানের জন্য টিউবওয়েল স্থাপন, চিকিৎসা বঞ্চিতব্যক্তিকে সাহায্য, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবারের মেয়েদের বিয়েতে আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন দুর্যোগ ও আপদকালীন সময়ে অসহায় অস্বচ্ছল লোকজনকে সার্বিকভাবে সহায়তা ও সহযোগিতা সহ সামাজিক সকল কর্মকান্ডে তিনি অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
এছাড়া আল্লামা দুবাগী ছাহেব (রহ.) ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিদেশের মাটিতে থাকা সত্ত্বেও বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সময়েও দেশের মানুষের কথা ভুলে যাননি। এই মাতৃভূমির অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের কথা বিবেচনা করে সব সময় সাহায্য সহযোগিতা করেছেন।
উপস্থিত সবাই দয়াময় আল্লাহর দরবারে করজোড়ে দোয়া করেন তিনি যেন হযরত আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী ছাহেব (রহ.)’র কবরকে জান্নাতের বাগান বানিয়ে দিন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসে আ‘লা মাকাম নসীব করুন। এছাড়া হযরতের রেখে যাওয়া সকল খেদমত, ঐতিহ্য ও স্মৃতিকে আজীবন হেফাজত রাখেন।
পরে চাল, ডাল, আলু, ভোজ্য তেল, ছোলা সহ বিভিন্ন খাদ্য ও ইফতার সামগ্রীর বিতরণ করা হয়। এসব খাদ্য সামগ্রী পেয়ে গরীব অসহায় দরিদ্র পরিবারগুলো খুবই আনন্দিত হয়েছেন।


[প্রিয় পাঠক, পাবলিক রিঅ্যাকশনের প্রায় প্রতিটি বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। আপনার অনুভূতির কথা আমাদের লিখে পাঠান। ছবিসহ মেইল করুন opinion2mail@gmail.com এই ঠিকানায়। যে কোনো খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। পাঠকের লেখা আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।]